প্রতিনিধি ১১ অক্টোবর ২০২৫ , ২:৪০:৩৬ প্রিন্ট সংস্করণ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। দাবির অংশ হিসেবে আগামী সোমবার (১৩ অক্টোবর) তারা পালন করবেন ‘লং মার্চ টু শিক্ষা ভবন’ কর্মসূচি। শিক্ষার্থীদের মূল দাবি—দীর্ঘ প্রতীক্ষিত অধ্যাদেশ দ্রুত জারি করা হোক; অন্যথায় আন্দোলন আরও তীব্র করা হবে।
শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, তারা এখন এমন এক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে আছেন, যেখানে এক কদম পিছিয়ে আসা মানে বছরের পর বছর ধরে গড়ে ওঠা আশাভঙ্গ ও আত্মত্যাগকে মাটিতে মিশিয়ে দেওয়া। তাদের ভাষায়, “এই ২৪–২৫ সালে শুরু হওয়া আন্দোলন কেবল দাবি নয়, এটা আমাদের অস্তিত্বের লড়াই।” তারা আরও বলেন, সাত কলেজের ইতিহাসে এত সুশৃঙ্খল ও পরিকল্পিত আন্দোলন আগে দেখা যায়নি। “আমরা এখন শেষ পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য প্রস্তুত।” ইডেন কলেজের শিক্ষার্থী সাদিয়া আফরিন মৌ বলেন, “আমরা ফিরব না, যতক্ষণ না অধ্যাদেশ ঘোষণার সময় চূড়ান্ত করা হয়।”
বাঙলা কলেজের শিক্ষার্থী মুত্তাকি বলেন, “অধ্যাদেশের খসড়া প্রকাশের পর থেকেই শিক্ষা সিন্ডিকেটের দৃশ্যমান ও অদৃশ্য ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। ২৪ সেপ্টেম্বর খসড়া প্রকাশের পর মতামত দেওয়ার জন্য ৭ কর্মদিবস সময় দেওয়া হলেও, এক মহল মরিয়া হয়ে সেই সময় বাড়িয়ে নেয়। ৯ অক্টোবর মতামত দেওয়ার সময় শেষ হলেও, আমরা আশঙ্কা করছি—অধ্যাদেশ জারির পথে বাধা দিতে এখনও সেই মহলের কার্যক্রম চলছে।” তিনি আরও বলেন, “এই ষড়যন্ত্র রুখে দেওয়ার একমাত্র উপায় হলো দ্রুত অধ্যাদেশ জারি করা। অনিশ্চয়তার কারণে শিক্ষার্থীরা এখন স্বাভাবিকভাবে পড়াশোনায় মনোযোগ দিতে পারছে না। আমরা স্পষ্ট জানিয়ে দিচ্ছি—অধ্যাদেশ জারি না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। অক্টোবর মাস চলবে ততদিন, যতদিন না শিক্ষা সিন্ডিকেট ভেঙে পড়ে।”
ঢাকা কলেজের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী আবির মাহমুদ রবিন বলেন, “ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশের খসড়া সংশোধনের জন্য যে সময় দেওয়া হয়েছিল, তা ইতিমধ্যেই শেষ। কিন্তু এখনও রাষ্ট্র কর্তৃক অনুমোদিত অধ্যাদেশ প্রকাশিত হয়নি। অন্যদিকে বিভিন্ন মহলের ষড়যন্ত্রও স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে। রাষ্ট্র এখনো নির্দিষ্ট কোনো তারিখ দেয়নি যে কবে অধ্যাদেশ প্রকাশ করবে। তাই আমরা নতুন কর্মসূচিতে যাচ্ছি।” তিনি আরও বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে আমরা আন্দোলন করছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে অধ্যাদেশ জারি হলে আমরা শান্তিতে পড়াশোনায় ফিরতে পারব। কিন্তু এখনো কিছু না হওয়ায় আমাদের শিক্ষা জীবন অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে।” শিক্ষার্থীরা আশা প্রকাশ করেছেন—রাষ্ট্র যেন দ্রুত সময়ের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশ জারি করে তাদের শিক্ষা জীবনে স্থিতি ফিরিয়ে আনে।











