প্রতিনিধি ১৫ অক্টোবর ২০২৫ , ১১:৪৯:১৬ প্রিন্ট সংস্করণ
আর্জেন্টিনার অধিনায়ক লিওনেল মেসি আবারও ইতিহাস গড়লেন। পুয়ের্তো রিকোর বিপক্ষে ৬-০ ব্যবধানে আর্জেন্টিনার দাপুটে জয়ের দিনে দুটি অ্যাসিস্ট করে তিনি পুরুষদের আন্তর্জাতিক ফুটবলে সর্বোচ্চ অ্যাসিস্টদাতা খেলোয়াড় হিসেবে নতুন রেকর্ড গড়েছেন।
এই ম্যাচের পর মেসির আন্তর্জাতিক অ্যাসিস্ট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬০-এ, যা নেইমার ও ল্যান্ডন ডোনাভানের ৫৮ অ্যাসিস্টকে ছাড়িয়ে গেছে। এই অর্জনের সঙ্গে মেসি তার পেশাদার ক্যারিয়ারে ৪০০ অ্যাসিস্টের মাইলফলক থেকে এখন মাত্র তিনটি অ্যাসিস্ট দূরে। যুক্তরাষ্ট্র সফরের শেষ ম্যাচে ফ্লোরিডার চেজ স্টেডিয়ামে (ইন্টার মায়ামির ঘরের মাঠ) অনুষ্ঠিত এ খেলায় আর্জেন্টিনা শুরু থেকেই আধিপত্য বিস্তার করে। যদিও মেসি নিজে গোল পাননি, তবে আলেক্সিস মাক আলিস্তার ও লাউতারো মার্তিনেসকে দুটি করে গোল করাতে সহায়তা করেন তিনি। বাকি দুটি গোল আসে গনসালো মন্তিয়েল ও একটি আত্মঘাতী গোল থেকে।
২০০৬ সালের বিশ্বকাপে সার্বিয়া ও মন্টিনিগ্রোর বিপক্ষে প্রথম আন্তর্জাতিক অ্যাসিস্টের পর থেকে মেসির পাসিং দক্ষতা, সৃজনশীলতা ও খেলার বুদ্ধিমত্তা তাকে বিশ্ব ফুটবলে এক অনন্য প্লেমেকারে পরিণত করেছে। পুয়ের্তো রিকোর বিপক্ষে ম্যাচেও তার পায়ের নিখুঁত ছোঁয়ায় গোলের পর গোল এসেছে। প্রথমার্ধে মন্তিয়েলকে চমৎকার পাস দিয়ে গোলের সূচনা করেন তিনি, আর দ্বিতীয়ার্ধে দারুণ ব্যাক পাসে লাউতারো মার্তিনেসকে দিয়ে নিজের দ্বিতীয় অ্যাসিস্টটি করেন। র্যাঙ্কিংয়ে তৃতীয় স্থানে থাকা আর্জেন্টিনার বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল ১৫৫তম স্থানে থাকা পুয়ের্তো রিকো, যাদের দলে কলেজ পর্যায়ের খেলোয়াড়ও ছিলেন। শুরুতে একটি সুযোগ নষ্ট করলেও বাকি সময়টা ছিল সম্পূর্ণ আর্জেন্টিনার নিয়ন্ত্রণে। গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্তিনেজের এক দারুণ সেভ দলকে গোল হজমের হাত থেকে রক্ষা করে।
২০২৬ বিশ্বকাপ সামনে রেখে লিওনেল মেসিকে ঘিরে প্রত্যাশা এখনো তুঙ্গে। ২০২২ সালে কাতার বিশ্বকাপ জয়ের পরও তিনি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিজের পরবর্তী বড় লক্ষ্য পূরণের পথে এগিয়ে যাচ্ছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে মেসি এখন পর্যন্ত ক্যারিয়ারের ১,১২৯ ম্যাচে ৩৯৭টি অ্যাসিস্ট করেছেন। রোববার তিনি আবারও তার ক্লাব ইন্টার মায়ামির হয়ে মেজর লিগ সকারে ন্যাশভিল এসসির বিপক্ষে মাঠে নামবেন।











