প্রতিনিধি ১ অক্টোবর ২০২০ , ১:২৭:৩৯ প্রিন্ট সংস্করণ
এ সময় তার সঙ্গে আইএসপিএবির সভাপতি মো. আমিনুল হাকিম, কোয়াবের সভাপতি এস এম আনোয়ারসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর প্রতিনিধি এবং বিএনসিসির কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এসময় ঝুলন্ত তারের জন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে দায়ী করে আতিক আরও বলেন, এর জন্য সবাই দায়ী। আমি যতবার এ ঝুলন্ত তার নিয়ে মিটিং করেছি, তখন এক সংস্থা আরেক সংস্থাকে দায়ী করেছে। কিন্তু দায়ী এরা আসলে সবাই। এনটিটিএন লাইসেন্স নিয়েও ১০ বছরে তারা কোনো কাজ করে নাই। বিটিআরসি তারা নিয়ন্ত্রক সংস্থা, কিন্তু তারা এগুলো সেভাবে তদারকি করে নাই। কিন্তু তাদের সবাইকে নিয়ে আমরা এসেছি। এবারই প্রথম তারা নিজেরাই নিজেদের তার কাটছেন। এটা কিন্তু তারাই কাটছেন, সিটি করপোরেশন কাটছে না।
আতিকুল ইসলাম আরও বলেন, আগামী এক বছরের মধ্যে ঢাকার সব ঝুলন্ত তার নামিয়ে ফেলা হবে। যদি এনটিটিএন নিজেদের কাজ না করে, আমরা সিটি করপোরেশন থেকে আমাদের ড্রেনের নিচ থেকে পাইপ দিয়ে দেব। তারা তাদের তার সেই পাইপ দিয়ে নেবে। এর জন্য তারা আমাদের নির্দিষ্ট ফি দেবে। সংস্থাগুলো আমাদের এ প্রস্তাবে রাজি হয়েছে। এসময় এক প্রশ্নের জবাবে আতিক বলেন, এনটিটিএন অপারেটররা সিটি করপোরেশনের কাছে এলে আমরা সাহায্য করব। আমরা চাই, তারা কাজ করুক। কিন্তু তারা করে না। ১০ বছরেও কেন তারা পাইপ টানেনি, এটা আমার প্রশ্ন।
ঝুলন্ত তার অপসারণে সাধারণ গ্রাহকদের যেন ভোগান্তি না হয়, সেদিকেও খেয়াল রাখা হচ্ছে দাবি করে তিনি বলেন, আমরা এমনভাবে তার কাটতে বলেছি, যেন গ্রাহকদের অসুবিধা না হয়। অনেক অভিভাবক আমাকে বলেছেন, তাদের ছেলেমেয়েরা বাসায় ইন্টারনেটে ক্লাস করেন। এর জন্য সংস্থাগুলো আমার থেকে সাতদিন সময় নিয়েছে, যেন মোড় বা ক্রসিং জায়গার তারগুলো না কাটা হয়। এখন শুধু প্রধান সড়কের তার কাটা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার সারাদিন গুলশান-২ এলাকার পাকিস্তান দূতাবাস থেকে গুলশান-১ এর শ্যুটিং ক্লাব পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশের ঝুলন্ত তার অপসারণ করছে ডিএনসিসি।