প্রতিনিধি ৭ মে ২০২০ , ৮:১৬:১০ প্রিন্ট সংস্করণ
আগৈলঝাড়া(বরিশাল)প্রতিনিধি : বরিশালের আগৈলঝাড়ায় করোনা আক্রান্ত চিকিৎসক দম্পত্তি দুই হাসপাতোলে চিকিৎসা শেষে দু’জনই সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরেছে। সুস্থ্য হয়ে ভারাটিয়া বাসায় হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছে। ৩৯ তম বিসিএস পাশ করে অনামিকা রায় ও রাজু বিশ্বাস। দুজনই ডাক্তার হিসাবে যোগদান করে আগৈলঝাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বাকাল ইউনিয়ন উপ–স্বাস্থ্য কেন্দ্রের অনামিকা রায় ও অপরজন হলো আগৈলঝাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার রাজু বিশ্বাস। চার মাস পূর্বে তাদের বিবাহ হয় ।
করোনাজয়ী ডাক্তার অনামিকা রায় ও ডাক্তার রাজু বিশ্বাস দম্পত্তি জানান, আগৈঝাড়া এই চিকিৎসক দম্পত্তির মধ্যে প্রথমে আক্রান্ত হন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বাকাল ইউনিয়ন উপ–স্বাস্থ্য কেন্দ্রের নারী চিকিৎসক অনামিকা রায়। করোনা উপসর্গ জ্বর. সর্দি . কাশি দেখা দিলে অনামিকা বিশ্বাসের (২৭) এর করোনা পরিক্ষার জন্য ১২ এপ্রিল এর দেখা দিলে তার নমুনা সংগ্রহ করে শের–ই বাংলা মেডিকেল কলেজের করোনা পরীক্ষাগারে পাঠানো হলে নমুনা পরীক্ষার রিপোর্টে শরীরে করোনার উপস্থিতি পাওয়া যায়। সে সুস্থ্য থাকায় পূর্ণরায় সংগ্রহ করে ১৩ এপ্রিল সেটি পরীক্ষা করার জন্য ঢাকায় রোগতত্ত¡, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (আইইসিডিআর) পাঠানো হলে ১৪ এপ্রিল বিকালে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ বখতিয়ার আল মামুন প্রতিবেদনটি হাতে পান। সেখানেও রিপোটে ‘পজেটিভ’ (করোনায় আক্রান্ত) ধরা পড়েছেন।
স্ত্রীর সংস্পর্শে আসলে স্বামী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার রাজু বিশ্বাস আক্রান্ত হন। ১৬ এপ্রিল তার করোনা ধরা পরে পরলে আগৈলঝাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক দিন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার বখতিয়ার আল মামুন তত্বাবধানে থেকে ১৭এপ্রিল শের–ই বাংলা মেডিকেল কলেজের করোনা চিকিৎসা নেওয়ার জন্য ভর্তি হয়। সেখানে চিকিৎসা ব্যাবস্থা তাদের পছন্দ না হওয়ায় তারা সিন্ধান্ত নেয় ঢাকার কুর্মিটোলা হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার। সেখানে ২৫ এপ্রিল প্রর্যন্ত চিকিৎসা নেওয়ার পর একাধিকবার পরিক্ষায় নেগেটিভ রিপোর্ট আসায় চিকিৎসার পরামর্শ পত্র দিয়ে ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশনা দিয়েছে।
বর্তমানে তারা গৌরনদী পৌর সদরের দক্ষিণ বিজয়পুর এলাকার সবুজ বাংলা নামের ইলেকট্রিক ব্যবসায়ী বেলাল হোসেনের ভাড়াটিয়া বাসার হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছে। এব্যাপারে আগৈলঝাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার বখতিয়ার আল–মামুন সাংবাদিকদের জানায়, ডাক্তার অনামিকা রায় ও ডাক্তার রাজু বিশ্বাস চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ সেবন করছেন। তারা এখন করোনাভাইরাস থেকে ঝুঁকিমুক্ত।