প্রতিনিধি ৯ নভেম্বর ২০২০ , ৪:১৩:০৩ প্রিন্ট সংস্করণ
আত্রাই (নওগাঁ) প্রতিনিধি :
নওগাঁর আত্রাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দীর্ঘদিন থেকে এ্যাম্বুলেন্স চালক না থাকায় রোগীরা চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। চালক না থাকায় সরকারী এ্যাম্বুলেন্সের ভাড়ার তুলনায় অনেক বেশি ভাড়া দিয়ে প্রাইভেট গাড়িতে করে রোগী পরিবহন করতে হচ্ছে। এতে করে একদিকে রোগীর স্বজনা লোকসানের শিকার হচ্ছেন অপরদিকে চরম দুর্ভোগও পোহাতে হচ্ছে।
জানা যায়, আত্রাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এ্যাম্বুলেন্স চালক মো. আসলাম পাভেজ টিপু গত সেপ্টেম্বর মাসের ১ তারিখে বদলি হয়ে চলে যান মহাদেবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। তিনি বদলি হওয়ার পর দীর্ঘ প্রায় আড়াই মাস অতিবাহিত হলেও এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নতুন কোন এ্যাম্বুলেন্স চালক নিয়োগ দেয়া হয়নি। ফলে ওই সময় থেকে পদটি শূন্য রয়েছে।
এদিকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ দ্রæত চালক নিয়োগের ব্যাপারে জোড়ালো কোন পদক্ষেপ না নেয়ায় দীর্ঘদিন ধরে এখানে চালক নিয়োগ দেয়া হচ্ছে না বলে অনেকে মন্তব্য করেছেন। দীর্ঘদিন থেকে এ্যাম্বুলেন্সের চালক না থাকায় সরকারী এ্যাম্বুলেন্স পড়ে থেকে অকেজো হয়ে যাবার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতাল হিসেবে জটিল ও গুরুতর রোগীদের প্রতিনিয়ত এখান থেকে স্থানান্তর করা হয় নওগাঁ সদর হাসপাতাল অথবা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। স্থানান্তরিত রোগীদের পরিবহনের জন্য স্বজনদের ছুটতে হয় প্রাইভেট গাড়ির নিকট। সুযোগ বুঝে তারা সরকারী ভাড়ার তুলনায় অনেক বেশি অর্থ হাতিয়ে নেয় রোগীদের কাছ থেকে। এতে করে রোগীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
উপজেলার বিশা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান মোল্লা বলেন, গত কয়েক দিন আগে আমি সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়ে আহতাবস্থায় আত্রাই হাসপাতালে যাই। সেখান থেকে আমাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। রাজশাহী যাবার জন্য সরকারী এ্যাম্বুলেন্সের চালক না থাকায় প্রায় দ্বিগুণ ভাড়া দিয়ে প্রাইভেট একটি মাইক্রোবাসে আমাকে যেতে হয়।
এতে আমার দুর্ভোগও পোহাতে হয়েছে। এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডা. রোখসানা হ্যাপি বলেন, এ্যাম্বুলেন্সের চালকের পদ শূন্য হওয়ার সাথে সাথে আমি এখানে একজন চালক নিয়োগের জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট লিখিত ভাবে জানিয়েছে। এ ছাড়াও একাধিকবার মৌখিকভাবে আমি তাঁদেরকে জানিয়েছি। তাঁরা নিয়োগ না দিলে আমার করার কিছু নেই।