প্রতিনিধি ৩১ অক্টোবর ২০২৪ , ৪:৪৯:৫১ প্রিন্ট সংস্করণ
রংপুর মেডিক্যাল কলেজে নতুন অধ্যক্ষ নিয়োগের একদিন পর বিক্ষোভের ঘটনায় এবার তার কক্ষের দরজায় তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) সকালে বৈষম্যবিরোধী চিকিৎসক, কর্মচারী ও ছাত্র-জনতার ব্যানারে এই তালা লাগানো হয়।
অধ্যক্ষের কক্ষে তালা মেরে দরজায় লাগানো ব্যানারে মাহফুজার রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগে লেখা হয়, ‘শহীদ আবু সাঈদের পোস্টমর্টেম রিপোর্ট বিকৃতির অপচেষ্টাকারী স্বৈরাচারের দোসর ও সুবিধাভোগী ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের পৃষ্ঠপোষক সাবেক ভাইস প্রিন্সিপাল মাহফুজার রহমানের ঠিকানা এই ক্যাম্পাসে হবে না।’
নতুন অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শরিফুল ইসলাম মণ্ডল বলেন, ‘স্বাস্থ্য অধিদফতরের এই সিদ্ধান্ত আমরা মানি না। কেননা, বিগত সরকারের সুবিধাভোগী, ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের পৃষ্ঠপোষক সাবেক উপাধ্যক্ষ মাহফুজার রহমানের অধ্যক্ষ পদে পদায়ন মানি না। তাকে ক্যাম্পাস থেকে চলে যেতে যেতে হবে।’
অভিযোগের বিষয়ে নতুন অধ্যক্ষ মাহফুজার রহমান বলেন, ‘স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে আমাকে অধ্যক্ষ পদে পদায়ন করা হয়েছে। ২৯ অক্টোবর এই মর্মে একটি চিঠিও দেওয়া হয়। এই চিঠি পাওয়ার পর আমি অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় গতকাল বুধবার একটি পক্ষ বিক্ষোভ করে। আজ (বৃহস্পতিবার) জানতে পারি, আমার কক্ষে তালা দেওয়া হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘বিগত সরকারের আমলে আমি উপাধ্যক্ষ ছিলাম এবং আমাকে বঞ্চিত করা হয়েছে। এখন আমাকে অধ্যক্ষ নিয়োগ দেওয়ার পর একটি চক্র নিজেদের ফায়দা হাসিলের জন্য অপচেষ্টা চালাচ্ছে। শহীদ আবু সাঈদের ময়নাতদন্তের সময় আমি যথেষ্ট সহযোগিতা করেছি। আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সত্য নয়।’
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মুহাম্মদ মকবুল হোসেনের সই করা এক চিঠিতে রংপুর মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ (সদ্য সাবেক) শাহ মো. সরওয়ার জাহানকে স্বাস্থ্য অধিদফতরে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়। একই কলেজের উপাধ্যক্ষ মাহফুজার রহমানকে নতুন অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। একই সঙ্গে উপাধ্যক্ষ নিয়োগ দেওয়া হয় সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আনোয়ার হোসেনকে।