প্রতিনিধি ২৩ মে ২০২০ , ১:৫৭:৫০ প্রিন্ট সংস্করণ
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ঘূর্ণিঝড় আম্পানের কারণে গাছ থেকে আম ঝরে পড়ায় দিশেহারা জেলার বাগান মালিকরা। এতে পঞ্চাশ কোটি টাকারও বেশি আম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে দাবি, বাংলাদেশ ম্যাংগো প্রডিউসার মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের।
ঝরে পড়া আম সঠিকভাবে বাজারজাত করতে পারলে ক্ষতির পরিমাণ কিছুটা কমে আসবে বলে মনে করেন ফল গবেষকরা।
আমের রাজধানী বলে পরিচিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা। ঘূর্ণিঝড় আম্পানের কারণে শিবগঞ্জ, ভোলাহাট, গোমস্তাপুর, নাচোল ও সদর উপজেলায় আমের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
বাগান মালিকরা বলছেন, চলতি মৌসুমে করোনার প্রাদুর্ভাবের জন্য ক্ষতির আশঙ্কা না কাটার আগেই প্রবল ঝড়ে উপড়ে পড়েছে অনেক আম গাছ, ভেঙেছে ডালপালাও। এতে গাছের আম পড়ে আছে মাটিতে। এ অবস্থায় দিশেহারা বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীরা।
ঝড়ে পঞ্চাশ কোটি টাকারও বেশি আম নষ্ট হয়েছে বলে দাবি এই ব্যবসায়ী নেতার।
বাংলাদেশ ম্যাংগো প্রডিউসার মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ বলেন, আম্পানে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ আম নষ্ট হয়েছে যার মূল্য প্রায় ৫০ কোটির উর্ধ্বে।
এই ফল গবেষকের মতে, ঝড়ে জেলার ১০ ভাগ আম ঝরে পড়ে গেছে।
আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব ও গবেষণা কেন্দ্র চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো: জমির উদ্দিন বলেন, ঝড়ে গড়ে ১০ শতাংশ আম ঝড়ে পড়েছে। ঝড়ে পড়া আমগুলোকে নিরাপদে ঢাকায়সহ বিভিন্ন জেলায় পাঠিয়ে দেয়া হয়, তাহলে অনেক উপকৃত হওয়া যাবে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের দেয়া তথ্য মতে, জেলায় ৩৩ হাজার হেক্টর জমির বাগানে ২ আড়াই লাখ মেট্রিক টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় ২৫ হাজার মেট্রিক টন আম।