প্রতিনিধি ১৮ মে ২০২৩ , ৯:০৫:০৪ প্রিন্ট সংস্করণ
আশুলিয়া (ঢাকা) প্রতিনিধিঃ
ঢাকার আশুলিয়ায় অপহরণের ১০দিন পর বিল থেকে ফারাবি আহমেদ হৃদয় (২২) নামের এক কলেজ শিক্ষার্থীর বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করেছেন র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটেলিয়ান র্যাব-৪। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফকার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে আশুলিয়ার মোজারমিল এলাকার একটি বিল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত ফারাবি আহমেদ হৃদয় আশুলিয়ার জামগড়া এলাকার ফজলুল হক মিয়ার ছেলে। সে জাহাঙ্গীরনগর কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিল।
গ্রেফতারকৃতরা হলো মানিকগঞ্জ জেলার ময়েজ উদ্দিন ওরফে পরান (২২) বগুড়া জেলার সুমন মিয়া ওরফে বাপ্পি (২৩) এবং আকাশ নামের অপর একজন। তারা আশুলিয়ার জামগড়া এলাকায় বসবাস করে।
র্যাব জানান, গ্রেফতার আসামীরা ও ঘটনার মূলহোতা পরান এবং ভুক্তভোগী হৃদয় একই এলাকার বাসিন্দা এবং পূর্ব পরিচিত হওয়ায় তাদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিলো। হৃদয়ের বাবা স্থানীয় প্রভাবশালী ও আর্থিকভাবে স্বচ্ছল ব্যক্তি। গ্রেফতার আসামী পরান ও তার সহযোগী সুমন মিয়া, আকাশ এবং পলাতক শাহীন আর্থিক সংকটের কারণে দীর্ঘদিন ধরে হৃদয়কে অপহরণ করে তার পরিবারের নিকট হতে মোটা অংকের টাকা আদায়ের পরিকল্পনা করে আসছিলো।
র্যাব আরও জানায়, পূর্ব পরিকল্পনামতে গত ০৮ মে বিকেলে আসামীরা ভুক্তভোগীকে আড্ডা দেয়ার কথা বলে সুকৌশলে আকাশের বাসায় নিয়ে যায়। পরবর্তীতে আসামীরা হৃদয়কে জোড়পূর্বক রশি দিয়ে বেঁধে ভিকটিমের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন থেকে তার বাবাকে ফোন করে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে। দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হওয়ার পরেও মুক্তিপনের টাকা না পেয়ে আসামীরা সংঘবদ্ধভাবে হৃদয়ের গলায় রশি পেচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে এবং পরবর্তীতে তার মুখে বালিশ চাঁপা দিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে। পরে একই দিন সন্ধ্যায় মরদেহ বস্তায় ভরে রিকশাযোগে মোজারমেল এলাকায় একটি বিলে ফেলে দেয়। পরে তারা আত্মগোপনের উদ্দেশ্যে এলাকা ত্যাগ করে অন্যত্র চলে যায়। এরপরে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয় এবং তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বিল থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় কলেজ ছাত্র হৃদয়ের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
র্যাব-৪ এর সিইও লেফটেন্যান্ট কর্নেল আব্দুর রহমান জানান, একটি আভিযানিক দল গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অপহৃত ভিকটিমকে উদ্ধার ও আসামী গ্রেফতারের উদ্দেশ্যে আশুলিয়া থানাধীন এলাকায় সাড়াশি অভিযান পরিচালনা করে অপহৃত ভুক্তভোগীর মরদেহ উদ্ধারপূর্বক উক্ত অপহরণ ও হত্যার সাথে জড়িত পরান, বাপ্পি ও আকাশকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা তাদের অপরাধের কথা স্বীকার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান তিনি।