ঢাকা

আশুলিয়ায় ১ ডজন মামলায় অভিযুক্ত থেমে নেই জবর দখলে

  প্রতিনিধি ৩১ আগস্ট ২০২৪ , ৩:৪৪:৩৫ প্রিন্ট সংস্করণ

আশুলিয়ায় ১ ডজন মামলায় অভিযুক্ত থেমে নেই জবর দখলে

আশুলিয়ায় বিগত ক্ষমতাসীন সরকার আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন যুবলীগের প্রভাবশালী নেতাদের ছত্রছায়ায় জোরপূর্বক জমি দখল ও জালিয়তির মাধ্যমে তা বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে যুবলীগের অনুসারীর মোঃ আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে। এসব ঘটনায় একাধিক মামলা থাকা সত্বেও এখনো থেমে নেই যুবলীগের অনুসারী আনোয়ার।

শনিবার সকালে আশুলিয়ার ধামসোনার বিভিন্ন স্থানে ঘুরে তার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ পাওয়া যায়।

অভিযুক্ত আনোয়ার হোসেন ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানার দক্ষিণ গাজিরচট মৃত চাঁন মিয়ার ছেলে। সে আশুলিয়া থানা যুবলীগের যুগ্ন-আহবায়ক মঈনুল ইসলাম ভূঁইয়ার অনুসারী বলে জানা গেছে।

একাধিক সূত্রে অভিযোগ পাওয়া গেছে, সাম্প্রতিক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগকে ঘিরে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির সুযোগকে কাজে লাগিয়ে একটি বাড়ি দখল ও প্রাণ নাশের হুমকি দেয়ার অভিযোগ ভুক্তভোগী আশরাফুল আলমের।

ভুক্তভোগী আশরাফুল আলম বলেন, আমি এবছরের ১৫ই আগস্ট বাইপাইল মৌজার ১১ শতাংশ জমি দুই সহোদর, আশিকুর রহমান খান ও আব্দুর রফিক খানের কাছ থেকে স্ট্যাম্পে লিখিতভাবে বায়না করি। পরে আমি ওই জায়গার ওপর আমার সাইনবোর্ড দেই। এরপরে ২৬ই আগস্টে চাঁন মিয়ার ছেলে আনোয়ার হোসেন এবং আশুলিয়া থানা যুবলীগের যুগ্ন-আহবায়ক মইনুল ইসলামের ভূঁইয়ার ম্যানেজার সুজন (৩৫) সহ অজ্ঞাত ব্যক্তিরা আমার সাইনবোর্ড ভেঙে ফেলে এবং আমাকে অকথ্য ভাষায় গালি গালাজসহ প্রাণ নাশের হুমকি দেয়।

কোন উপায় না পেয়ে এ ঘটনায় আমি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করি। আশরাফুল আলম আরও অভিযোগ করে বলেন, সে ২০১০ সালের ১১ই নভেম্বর আশরাফ আলী মোল্লা (২৬) নামের এক যুবকের হত্যার ঘটনায় হত্যা মামলার আসামি। আশুলিয়া থানার পুলিশ বাদি ৩১ নং মামলার ধারা ৩০২/৩৪ এবং ১৪৩/৩৪১/৩২৩/৩২৫/৩৭৯/৫০৬ ধারায় ২৬ ডিসেম্বর আটক হয়। পরে ২৯ই ডিসেম্বর ২দিনের পুলিশের রিমান্ড শেষে  দীর্ঘদিন সাজা হয়।
আনোয়ার গং এর হাত থেকে রেহাই পেতে, সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে বিচারের দাবি করেন এই ভুক্তভোগী।

এর আগে জমি দখলের পূর্ব শত্রুতার জেরে ২০১১সালের ১৪ই এপ্রিল রাতে আশুলিয়ার  মধ্যগাজীরচট এর মৃত আব্দুল জব্বারের ছেলে, নূর মোহাম্মদ (৫০) ও তার সুপারভাইজার ইকবাল হোসেন (২৭) কে, বাড়িতে ঢুকে হত্যার উদ্দেশ্যে বোমা নিক্ষেপ ও গুলি করার ঘটনায় মামলা হয় আনোয়ার হোসেনের নামে। বোমার আঘাতে নূর মোহাম্মদের দুই উরুসহ অন্ডকোষ ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং সুপারভাইজার ইকবালের বাম পা গুলিবিদ্ধ হয়। এ ঘটনায় ঘটনাস্থল থেকে আনোয়ার হোসেনের পিতা চান মিয়াকে আটক করে আশুলিয়া থানা পুলিশ। অস্ত্রসহ পালিয়ে যায় আনোয়ার হোসেন ও তার সহযোগীরা। ১৫ এপ্রিল ২০১১ ইং আহতের ছোট ভাই জসিম উদ্দিন আশুলিয়া থানায় চান মিয়া ও তার পুত্র আনোয়ার হোসেন সহ অজ্ঞাত ২০-২৫ জনের বিরুদ্ধে ১৪৩/৪৪৭/১০৯/৩২৩/৩২৫/৩২৬/৩০৭/৫০৬ ধারায় একটি মামলা নং ৩৮(৪)১১করেন। যেখানে এসব কথা উল্লেখ করা হয়েছে বলে আরেক ভুক্তভোগী জানান।

ভুক্তভোগীর ছোট ভাই জসিম উদ্দিন বলেন, আমাদের ৮১ শতাংশ জায়গার মধ্যে ২৮ শতাংশ জায়গা জালিয়াতির মাধ্যমে বিক্রি করেছিলো আনোয়ার ও তার বাবা। পরে পুরো জমি দখল করতে চেয়েছিল তারা। এতে বাঁধা দিতে গেলে আমাদের ওপর হামলা করে। এসময় ঘটনাস্থল থেকে তাঁর বাবাকে পুলিশ আটক করে এবং তাদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিটও দেয়া হয়। সে পরবর্তীতে কোন এক অজানা কারণে দুই দুইবার মামলার তারিখে কোর্টে অনুপস্থিত থাকেন। পরে আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করার সিদ্ধান্ত নেই। এমতাবস্থায় ওর বাবা চান মিয়া মারা যায় এবং আমাদের কাছে ক্ষমা চেয়ে ভুল স্বীকার করে দখলকৃত জায়গা ছেড়ে দেয়। এজন্য আর আপিল করিনি। তার আত্মীয় স্বজন যুবলীগের বড় নেতা থাকায় তাদের দাপটের সাথে চলাফেরা করতো।
তিনি আরো বলেন, এছাড়াও অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন আশরাফ হোসেন চৌধুরীর বায়নাকৃত ১০৭ শতাংশ জমি দখল করতেও গিয়েছিলো।

সে ঘটনায় ১১ই অক্টোবর ২০০৬ ইং প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের প্রতিবেদনে বাবা ছেলের নাম উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলে,‘তাদের চক্রটি দীর্ঘদিন যাবৎ ভুয়া জাল কাগজ এর মাধ্যমে জোরপূর্বক দখল ও ভূমিদস্যুতার সাথে লিপ্ত এবং তাদের কার্যকলাপের ঘটনা থানায় অভিযোগ পত্রসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়েছিলো’। চক্রের বিরুদ্ধে কার্যকারী ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করে লেঃ কর্নেল ইকবাল এনামুল করিম স্বাক্ষরিত একটি গোয়েন্দা প্রতিবেদন (স্মারক নং -১৩০/৬০/২৯-এ/প্যাঃমিঃ) দাখিল করেছিলেন, তৎকালীন র‍্যাব হেডকোয়ার্টার অতিরিক্ত মহাপরিচালক বরাবর। আর আমরা যদি দুর্বল হতাম প্রতিবাদ না করতাম তা হলে আমাদের জমি আর ফেরত পেতাম না।

২০২০ সালে যুবলীগের পরিচয়ে আশুলিয়া থানার বাইপেল এলাকায় একটি মার্কেট দখল করতে গিয়ে ৫ লক্ষ টাকার চাঁদা দাবি এবং মালিক পক্ষের মাকসুদা নামের এক নারীকে ২০২০ সালের ৫ই ফেব্রুয়ারি সকালে কুপিয়ে এবং পিটিয়ে হাত-পা ভেঙে মারাত্মক জখম করে। এঘটনায় আশুলিয়া থানায় ৬ই ফেব্রুয়ারি ৩৩ নং মামলার ১৪৩/৪৪৭/৩২৩/৩২৪/৩২৫/৩৮৫/৫০৬ ধারায় ৪ নং আসামী ছিলেন চান মিয়ার ছেলে যুবলীগ কর্মী আনোয়ার হোসেন বলে অভিযোগ  অন্য এক ভুক্তভোগীর।

ভুক্তভোগী নারীর ভাই ও মামলার বাদী ফারুক হোসেন বলেন, ‘আনোয়ার আসলে একজন কিলার, কন্টাক্ট কিলার। আপনারা খবর নিয়ে দেখেন সবাই বলবে সে কি রকম খারাপ লোক। আমার বোনের মার্কেট থেকে তারা বেদখল করে ভাড়া নিতো। আমরা দোকানদারদের ভাড়া দিতে নিষেধ করেছি। বলেছি যাদের কাগজ সঠিক প্রমাণ হবে তাদেরকে ভাড়া দেওয়ার জন্য। যেহেতু বিষটি বিচারাধীন। এরপরে সে ক্ষিপ্ত হয়ে যুবলীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে আমার বোনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম ও মেরে হাত পা ভেঙে দেয়। আমার কথা হচ্ছে কাগজে যে পাবে, যে মূলত মালিক। তাকে বুঝিয়ে দেয়া হোক জমি। আমি যদি মালিক না হই, আমি নিবো না। তাও মারামারির মধ্যে আমি নাই। আমার বোনটাকে মেরে শুধু শুধু জীবনটা শেষ করে দিয়েছে।

২০১০ সালে চান মিয়া ও তার ছেলে আনোয়ার হোসেনে, মৃত জুলফিকার আলী ভুঁইয়ার ছেলে ধানমন্ডির বাসিন্দা মোহাম্মদ শামসুল আলম ভূঁইয়া এবং স্ত্রী মিসেস ফয়জুন নাহারের, ১৯৯৮ সালে ৪৮৩২/৪৮২৪ নং দলিলমুলে ক্রয়কৃত বাইপাইল মৌজার ৫০ শতাংশ জমি, এই দম্পতির অনুপস্থিতির সুযোগে দখল করে। বাপ ছেলের জবরদখলের বিরুদ্ধে আদালতে ৪২৫/২০১০ ধারায় মামলা করেন এই দম্পতি। আদালত চান মিয়া ও আনোয়ার হোসেন গংদের এই সম্পত্তিতে অনুপ্রবেশ ও বাদী পক্ষের ভোগ দখলে কোন প্রকার ব্যাঘাত সৃষ্টি না করার  আদেশ জারি করে।

আদালতের আদেশ অমান্য করে চাঁন মিয়া সহ তার পুত্র আনোয়ার হোসেন গং শুরু করে সন্ত্রাসী কার্যক্রম। হত্যার হুমকি সহ ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন এই দম্পতির কাছে। এ ঘটনা উল্লেখ করে ৩০শে জুলাই ২০১০ আশুলিয়া থানায় জিডি নং ২০০৫ দায়ের করেন দম্পতি। তাতেও কাজ না হওয়ায় ওই বছরের ৬ই অক্টোবর তৎকালীন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন এর দপ্তরে ডাইরি নং ৩৪২৭ চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীদের হাত থেকে জীবন ও সম্পত্তির রক্ষার আবেদন করেন ফয়জুন নাহার দম্পতি। পরে ১০ই অক্টোবর তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আবেদন পত্রে বলা হয়।

২০১৭ সালে ঢাকার বাসিন্দা মৃত হাজী আব্দুর রশিদ খানের দুই ছেলে আব্দুর রফিক খান এবং আশিকুর রহমান খানের আশুলিয়া থানার বাইপেল মৌজার ৮৭৬৮ নং খতিয়ান এর ১৯৮ ও ৯৭৩ দাগের ১১ শতাংশ একটি বাড়ি সহ জমি। তাদের অনুপস্থিতির সুযোগে নিজেকে যুবলীগ নেতা পরিচয় দিয়ে দখল করার অভিযোগ এনে ৩০ই এপ্রিল ২০১৭ তারিখে ফৌজদারী কার্যবিধির ১৪৫ ধারায় মামলা নং ৮১/১৭ করেন দুই ভাই।

এই মামলার বাদি আশিকুর রহমান বলেন, আনোয়ার হোসেনের জবর দখলের বিরুদ্ধে নিরুপায় হয়ে আদালতে মামলা করি। মামলার তদন্ত করে আশুলিয়া থানা পুলিশ। তদন্তে চান মিয়ার ছেলে আনোয়ার হোসেন জোরপূর্বক ভাবে নির্মাণ কাজ করার ও জবর দখল করার পাঁয়তারা করছে এবং আনোয়ার জোরপূর্বক ভাবে নির্মাণ কাজ করলে শান্তি শৃঙ্খলা ভঙ্গের আশঙ্কা রয়েছে মর্মে, তৎকালীন আশুলিয়া থানার এসআই ফরাদ একটি তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করে। এই মামলায় আমাদের পক্ষে আদালত রায় দেন।

রায় পেয়ে আমরা জায়গাটি দক্ষিণ গাজীরচটের মৃত আব্দুল মালেকের ছেলে আশরাফুল আলমের কাছে বায়না সূত্রে বিক্রি করি। পূর্বের মতো আদালতের রায় অমান্য করে, চান মিয়ার ছেলে আনোয়ার হোসেন বায়নাকৃত জমির সাইনবোর্ড ভেঙে ফেলে এবং আশরাফুল আলমকে ভয়-ভীতি ও প্রাণ নাশের হুমকি দেয়। আইনগতভাবে আমি সকল দিক থেকে জমির মালিকানা বুঝে পেয়েছি। কিন্তু আমি এলাকায় স্থায়ী বাসিন্দা না হওয়ায় পেশি শক্তিতে পেরে উঠছি না। আমি যেহেতু জায়গা বায়না করে বিক্রি করেছি। যে কিনেছে বাকি আইনগত ব্যবস্থা সে নিবে। সাইনবোর্ড ভাঙচুর ও প্রাণ নাশের হুমকির ঘটনায় ২০২৪ সালের ২৮শে আগস্ট আশুলিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে আশরাফুল আলম।

অভিযুক্ত আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমি যুবলীগের কোন পদে ছিলাম না। আমার ভাই ব্রাদার আত্মীয়-স্বজন রাজনীতি করতো। আমার ফুফাতো ভাই মইনুল ওয়ার্ড মেম্বার। সে  যুবলীগের আশুলিয়ার যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলো। আমি তার কাছে যেতাম অস্বীকার করার কিছু নাই’।
‘জমির ব্যাপারে ভাই কাগজ ছাড়া কেউ জমি খাইতে পারে না । ২০১০ সালের এই যে ৫০ শতাংশ জমি এখনো ফাঁকা। ওই জমির ব্যাপারে আমরাও মামলা করেছি আদালতে। ওই জমির বিএস আমার নাম থেকে কাইটা গেছে, সেটার উপরেও কেস চলতেছে। এখানে চাঁদাবাজির কোন বিষয় না‘। ২০১১ সালে নূর মোহাম্মদকে গুলি করা ও বোমা মারার ঘটনার বিষয় বলেন, ‘১১সালের হিসাব যদি এখনো করে !, ১১ সালে একটা জমি নিয়া মারামারি হইছে, মুরাদ জং আইছিলো এইখানে। ওইখানে আমারে ধরবো কেন ? আশ্চর্য বিষয় ! ১১ সালের ঘটনা ঐ মালায় আমারে আসামি করছে। তার দেখছে যে না, পরে একটা আপস মীমাংসা হইছে। পাশাপাশি বাড়ি এ জায়গায় আমারে মামলা দিছে। আর মামলাও শেষ। তারা নিজেরাই মীমাংসা করেছে। আমার বাসায় আইসা দাওয়াত খায় আমি হেগো বাসায় যাইয়া দাওয়াত খাই‘। কিলারের অভিযোগের বিষয়ে বলেন, ‘আমি যদি কিলার হতাম তাহলে কি বাসায় ঘুমাযইতে পারতাম? বাসায় থাকতে পারতাম?‘ ১১ শতাংশ জমির ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘আমি এইখানে মার্কেট কইরা বাড়ি কইরা ২০০৯ সাল থেকে ভাড়া দিয়া খাইতেছি । আরেকজন একটা জিন্নুর আইনের দলিল নিয়ে আমার সাথে ঝামেলা করতেছে। আমার বাড়ি দখল করার চেষ্টাও করেছে এটা সবাই স্বাক্ষি আছে‘।

সাইনবোর্ড ভাঙচুরের অভিযোগের বিষয়ে আশুলিয়া থানার এসআই মোতালেব বলেন, গত দুইদিন আগে আশরাফুল আলম নামে একজন অভিযোগ করেছে। আমি অভিযোগের ভিত্তিতে আনোয়ারের সাথে প্রাথমিকভাবে  ফোনে কথা বলেছিলাম। আনোয়ার হোসেন বলেছে জায়গাটির উপরে আদালত থেকে ১৪৪ জারি করা আছে। তবে আমি ঘটনাস্থলে যায়নি এখনো । ঘটনাস্থলে তদন্তের জন্য গেলে, পুরো বিষয়টি জেনে বলতে পারবো বলেও জানান তিনি। 

আরও খবর

Sponsered content