আন্তর্জাতিক

ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে অপহৃত হয়েছি: শহিদুল আলম

  প্রতিনিধি ৮ অক্টোবর ২০২৫ , ১২:৩৪:২১ প্রিন্ট সংস্করণ

বাংলাদেশের খ্যাতনামা আলোকচিত্রী ও লেখক শহিদুল আলম জানিয়েছেন, তাকে ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী অপহরণ করেছে। নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রকাশিত এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, “আমি শহিদুল আলম, বাংলাদেশের একজন আলোকচিত্রী ও লেখক। আমাদের সমুদ্রে আটক করা হয়েছে এবং আমাকে ইসরায়েলের দখলদার বাহিনী অপহরণ করেছে—যাদের পেছনে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য পশ্চিমা শক্তির প্রত্যক্ষ সহযোগিতা, যারা গাজায় গণহত্যা চালাচ্ছে।”

তিনি আরও বলেন, “আমি আমার সব সহযোদ্ধা ও বন্ধুদের অনুরোধ করছি—ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার সংগ্রাম চালিয়ে যাও।” জানা গেছে, শহিদুল আলম ‘কনশান্স’ নামের একটি জাহাজে অবস্থান করছিলেন। এদিকে, গাজা ফ্রিডম ফ্লোটিলা জানিয়েছে, ইসরায়েলি সেনারা তাদের কনভয়ের ওপর হামলা চালিয়ে গাজা অভিমুখে যাত্রার সময় একাধিক জাহাজ আটক করেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স-এর তথ্যমতে, ইসরায়েলি বাহিনী অন্তত দুটি নৌকায় ওঠে অভিযান চালায়।

বুধবার ইসরায়েলি সেনারা অন্তত তিনটি জাহাজ আটক করেছে বলে জানা গেছে। গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা সামাজিক মাধ্যম এক্স-এ জানায়, গাজা সানবার্ডস, আলা আল-নাজ্জার এবং আনাস আল-শরীফ নামের জাহাজ তিনটিতে হামলা চালিয়ে অবৈধভাবে যাত্রীদের আটক করা হয়েছে। ঘটনাটি গাজা উপকূল থেকে প্রায় ২২০ কিলোমিটার দূরে, বুধবার ভোরে ঘটে।

এছাড়া ‘কনশান্স’ নামের জাহাজেও আক্রমণ চালানো হয়েছে বলে দাবি করেছে সংস্থাটি। ওই জাহাজে ৯০ জনেরও বেশি সাংবাদিক, চিকিৎসক ও মানবাধিকারকর্মী ছিলেন। ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘটনাটি স্বীকার করে জানায়, গাজার নৌ অবরোধ ভাঙার এটি ছিল আরেকটি ব্যর্থ চেষ্টা। আটক জাহাজ ও যাত্রীদের ইসরায়েলের এক বন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তারা আরও জানিয়েছে, সকল যাত্রী বর্তমানে নিরাপদে আছেন এবং দ্রুত তাদের দেশত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হবে।

ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন জানিয়েছে, আটক নৌবহরগুলোতে গাজার হাসপাতালগুলোর জন্য ১ লাখ ১০ হাজার ডলারের বেশি মূল্যের ওষুধ, চিকিৎসা সরঞ্জাম ও পুষ্টিসামগ্রী ছিল। গত কয়েক মাস ধরে ইসরায়েল গাজায় প্রবেশের চেষ্টা করা বহু আন্তর্জাতিক সহায়তা বহরকে বাধা দিয়েছে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, গাজায় বর্তমানে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

এর আগের সপ্তাহেও ইসরায়েল একই সংগঠনের প্রায় ৪৫টি জাহাজ আটক করেছিল। সেই বহরে রাজনীতিক ও অধিকারকর্মীদের পাশাপাশি সুইডেনের জলবায়ু আন্দোলনকর্মী গ্রেটা থুনবার্গও ছিলেন। ওই ঘটনার পর ইউরোপজুড়ে তীব্র বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।

আরও খবর

Sponsered content