প্রতিনিধি ১২ ডিসেম্বর ২০২০ , ৫:৩৯:২০ প্রিন্ট সংস্করণ
সালাউদ্দীন আহমেদ, ঈশ্বরদী (পাবনা) :
ঈশ্বরদীতে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। ভোরে থেকে শুরু করে রাত পর্যন্ত কুয়াশায় ঢাকা পড়ছে জনপদ। বইছে হিমেল বাতাস। ফলে শীতে জবুথবু হয়ে পড়েছেন এ জনপদের মানুষ। চারদিন ধরে এখানকার তাপমাত্রা ১২ থেকে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠানামা করছে। আর দুইদিন ধরে সূর্যের মুখ দেখা মেলেনি। শনিবার ঈশ্বরদীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কুয়াশায় ঢেকে আছে প্রকৃতি। রাতে ঘন কুয়াশার সংগে গুড়িগুড়ি বৃষ্টির মত শিশির পড়ছে। সন্ধ্যার পর থেকে মানুষ খুব একটা বেশি বাড়ির বাইরে যাচ্ছেন না। শীত থেকে বাঁচতে অনেকেই লেপ-কাঁথা গায়ে জড়াচ্ছেন। শীত নিবারণে গরিব-ধনী সবাই ছুটছেন গরম কাপড়ের দোকানে।
ঈশ্বরদী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ সূত্রে জানা গেছে, কুয়াশাচ্ছন আকাশ, সূর্যের দেখা না পাওয়া ও উত্তরের শীতল বাতাসের কারণে ঈশ্বরদীসহ আশপাশের এলাকায় কয়েকদিন ধরে শীতের তীব্রতা বেশি অনুভূত হচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে অপেক্ষাকৃগ দরিদ্র ও নিন্ম আয়ের মানুষেরা শীত কষ্ট নিবারণে হকার্স মার্কেট ও ফুটপাতে ভিড় করছেন গরম কাপড় কিনতে ।
তারা অল্প টাকায় ফুটপাত থেকে কিনছেন গরম কাপড়। শনিবার বেলা ১ টার দিকে সরজমিনে দেখা গেছে, ঈশ্বরদী শহরের স্টেশন সড়ক, বুকিং কাউন্টার, রেলগেট, রেলওয়ে হকার্স মার্কেট ও ফুটপাতে শীতের কাপড় কিনতে আসা মানুষের প্রচণ্ড ভিড়। পুরোনো কাপড়ের এই দোকানগুলো দেখে মনে হচ্ছে কেনাকাটায় মানুষের ধুম পড়েছে। দোকানে কম দামে বিদেশি পুরোনো গরম কাপড় কিনে ক্রেতারা বাড়ি ফিরছেন।
পুরোনো কাপড়ের দোকানে কাপড় কিনতে আসা উপজেলার সাঁড়া ইউনিয়নের আলাউদ্দিন, শহরের ফতেমোহাম্মদপুরের নান্নু মিয়া, দিনমজুর শরীফ হোসেন বলেন, তারা এখন পর্যন্ত সরকারি বা বেসরকারি কোনো শীতবস্ত্র পাইনি। তাই শীত ঠেকাতে তারা সস্তায় ফুটপাতের দোকানে থেকে নিজ ও পরিবারের অন্য সদস্যেরর জন্য গরম কাপড় কিনছেন।