প্রতিনিধি ৭ নভেম্বর ২০২১ , ৭:৩৫:৪৫ প্রিন্ট সংস্করণ
সোনাতলা (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার সোনাতলা উপজেলা পৌরসভা নির্বাচন পরবর্তী নির্বাচনী সহিংশতা স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী মেয়র নান্নু জনপ্রতিনিধি হয়ে হিংসাত্মক কাজে নেতৃত্ব দিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাড. মিনহাদুজ্জামান লীটনের উপর হামলার প্রতিবাদে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এসোসিয়শনের সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৭ নভেম্বর রবিবার দুপুর ১টায় উপজেলা বঙ্গবন্ধু মিলেনিয়াম হলে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ইউনিয়ন পরিষদ এসোসিয়েশনের সভাপতি ও সদর ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুবুল আলম বুলু। তিনি তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন, একজন জনপ্রতিনিধি জনগণের পবিত্র ভোটে নির্বাচিত হয়।
বিগত ২ নভেম্বর সোনাতলা পৌরসভা নির্বাচনের বিদ্রোহী প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম নান্নু আকন্দ নারিকেল গাছ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে জয়লাভ করেন। বিজয় ঘোষণার পর পরই বিজয়ের উল্লাস করে আ. লীগের নেতাকর্মীদের প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে অকথ্য ভাষায গালিগালাজ করেন।
স্থানীয় বেশ কয়েকটি সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়ি ঘরে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করলে উপজেলা আ.লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম কোট বার সমিতির নিয়মিত সদস্য এ্যাড. মিনহাদুজ্জামান লীটন উপস্থিত হয়ে ভাংচুরের প্রতিবাদ করলে বিজয়ী প্রার্থী ও তার সমর্থকগণ দাম্ভিকতার সহিত ঘোষণা করে বলে যেখানে আ.লীগের নেতাকর্মী পাওয়া যাবে সেখানে খুন জখম করবে।
এরই প্রেক্ষিতে ৩ নভেম্বর নির্বাচনের পরদিন বেলা আনুমানিত ১২ টার সময় উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ.লীগের সভাপতি এ্যাড. মিনহাদুজ্জামান লীটন এবং তার দলীয় কর্মী উপজেলা মৎস্যজীবি লীগের যুগ্ম আহবায়ক মামুনুর রশিদ সোহেল, পৌর যুবলীগের আহবায়ক নাহিদ হাসান জিতু ও যুগ্ম আহবায়ক উৎপল কর্মকারসহ আরো কয়েকজন সোনালী ব্যাংক লিমিটেড সংলগ্ন সোনাতলা টু হরিখালী রোডের পার্শ্বে মাইক্রো ষ্ট্যান্ডের সংখ্যা লঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা বিধানের জন্য ও এলাকায় শান্তি স্থাপনের উদ্দেশ্যে জনগণের অভয় দিতে যাওয়ার আগ মুহুর্তে দুজন কান্সিলর সাথে আলোচনা চলছিল।
নবনির্বাচিত মেয়র যাতায়াত পথে তার ভাই বগুড়া জেলার জাতীয়তা প্রজন্ম দলের আহবায়ক আব্দুল আজিজ হীরা আকন্দ ও তার আরেক ভাই সোনাতলা পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি রেজাউল করিম মানিক আকন্দসহ তাদের সন্ত্রাসী বাহিনী দেশীয় অস্ত্র চাপাতি, রাম দা, চাকু, লোহার রড, লাঠি ও দেশীয় অস্ত্র পিস্তল নিয়ে লীটন ও তার সঙ্গে থাকা দলীয় নেতাকর্মীদের চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে নির্মম ভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে তাদের উপর আক্রমন চালায়।
এতে লীটন, সোহেল, জিতু ও উৎপল আহত হয়ে শহিদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ আব্দুল মালেক, তেকানী চুকাইনগর ইউপি চেয়ারম্যান শামছুল হক মন্ডল, জোরগাছা ইউপি চেয়ারম্যান রোস্তম আলী মন্ডল, দিগদাইড় ইউপি চেয়ারম্যান আলী তৈয়ব শামিম, মধুপুর ইউপি চেয়ারম্যান অসীম কুমার জৈন নতুন, পাকুল্লা ইউপি চেয়ারম্যান জুলফিকার রহমান শান্ত, বালুয়া ইউপি চেয়ারম্যান রুহুল আমিন।