প্রতিনিধি ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ , ৪:৫৭:৩১ প্রিন্ট সংস্করণ
কুড়িগ্রামের উলিপুরে সম্প্রতি অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে থেতরাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতার পদ শূণ্য ঘোষণা করা হয়। এদিকে সদ্য সাবেক চেয়ারম্যানের কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবী ও তার লোকজনকে মারধরের অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাতে শাহ আলম বসুনিয়া বাদী হয়ে ১৩ জনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার থেতরাই ইউনিয়নের আতাউর রহমান আতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়। ওই নির্বাচনে এলাকার আলমগীর হোসেন বসুনিয়া (৫০) সহ একটি পক্ষ চেয়ারম্যানের বিরোধীতা করেছিলেন।
আতা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে তারা চেয়ারম্যানের কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে আসছিলেন। তা না পেয়ে মিথ্যা অজুহাতে চেয়ারম্যানকে অপসারন করার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন অফিসে লিখিত ভাবে ভূয়া তথ্য প্রদান করেন বলে দাবী করা হয়। গত সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাতে চেয়ারম্যান আতা তার লোকজনসহ থেতরাই বাজারে অবস্থান করাকালীন সময় আলমগীর হোসেন বসুনিয়াসহ তার লোকজন এসে পুনরায় চেয়ারম্যানের কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করেন।
এ সময় চেয়ারম্যান চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকার করায় তারা বিভিন্ন উস্কানিমূলক কথা বলতে থাকে। এরই এক পর্যায়ে আলমগীর হোসেনের নেতৃত্বে একদল লোক চেয়ারম্যানসহ তার লোকজনের উপর দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা করেন। এ সময় রাম-দা এর কোপে ঘটনাস্থলে থাকা আবুল কালাম আজাদ (৫৫), শাহালম বসুনিয়া (৪৫), মফিজল হক বাচ্চা (৬০) ও আব্দুল হাই (৬২) গুরুত্বর আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান।
পরবর্তীতে মফিজল হক বাচ্চা ও আব্দুল হাইয়ের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় ওই রাতেই তাদের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং শাহ আলম বসুনিয়াকে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। বর্তমানে তারা চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ ঘটনায় আহত শাহ আলম বসুনিয়া বাদী হয়ে আলমগীর হোসেন বসুনিয়াকে প্রধান আসামী করে ১৩ জন নামীয় ও অজ্ঞাত নামা ২০ জনের বিরুদ্ধে চাঁদা দাবী ও মারপিটের অভিযোগে বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাতে উলিপুর থানায় মামলা করেন।
উলিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, থেতরাই ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যানের কাছে চাঁদা দাবী ও মারপিটের অভিযোগে মামলা হয়েছে। আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
উল্লেখ্য, গত সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয় স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের প্রেক্ষিতে থেতরাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদটি শূণ্য ঘোষণা করা হয়। এ ঘটনায় ওই দিন রাতে চেয়ারম্যানে পক্ষে ও বিপক্ষের লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এরই এক পর্যায়ে সংঘর্ষ বাঁধে। এতে চেয়ারম্যানের পক্ষের লোকজন গুরুত্বর আহত হন।