প্রতিনিধি ৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ১২:১৪:৫৪ প্রিন্ট সংস্করণ
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের জনসভায় গ্রেনেড হামলার ঘটনায় মদদদাতা হিসেবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে আসামি করে মামলার আবেদন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদারের আদালতে এ আবেদন করেন জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এবি সিদ্দিকী। মামলা গ্রহণের বিষয় এখনো শুনানি হয়নি।
মামলার বাদী এবি সিদ্দিকী নিজেই বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, আজ সকাল ৯টার দিকে খালেদা জিয়াকে আসামি করে একটি মামলার আবেদন করেছি। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মামলা গ্রহণের বিষয়ে শুনানি হবে।
মামলায় সাক্ষী করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সংসদ সদস্য শেখ সেলিম, শেখ হেলাল, হাজি মো. মাহবুব আব্দুল্লাহকে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের আগেই তারেক রহমান, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুরুজ্জামান বাবর, জঙ্গি সংগঠনের প্রধান মুফতি হান্নান, ডিজিএফআই পরিচালক মেজর জেনারেল রেজাকুল হায়দার চৌধুরী, এনএসআই প্রধান ব্রিগেডিয়ার আব্দুর রহিম, পুলিশ প্রধান আশরাফুল হুদা এবং হারিছ চৌধুরী, আব্দুস সালাম পিন্টু, আলী হাসান মুজাহিদসহ সকল প্রশাসন প্রধানদের সঙ্গে একটি গোপন বৈঠক করেন। যে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় কীভাবে ২১ আগস্টে ১৫ আগস্টের খুনের মতো শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের সবাইকে হত্যা করে সফল হতে হবে।
মামলার অভিযোগে বাদী উল্লেখ করেছেন, শেখ হাসিনা যখন ভাষণ শুরু করেন তখনই বৃষ্টির মতো গ্রেনেড ছুড়ে দেয়া হয়। গ্রেনেড বিস্ফোরণের সঙ্গে সঙ্গে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা শেখ হাসিনাকে আড়াল করে জীবন রক্ষা করেছেন এবং তাকে যখন গাড়িতে তুলে দেয় তখনও তার গাড়িতে গুলি করা হয়। বুলেট প্রুফ গাড়ি হওয়ায় আল্লাহর রহমতে বেঁচে যান। কিন্তু সেই গ্রেনেডের আঘাতে বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী, প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ ঘটনাস্থলেই ২৪ জন নেতাকর্মী নিহত হয়। কমপক্ষে আরও ৩০০ জনের ওপরে নেতাকর্মী আহত হয়।
‘আহত নেতকর্মীরা চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে যান। তবে তাদেরকে ভর্তি করা হয়নি। প্রশাসনের লোকজন দিয়ে তাদের ঢুকতে দেয়া হয়নি এবং বঙ্গবন্ধু মেডিকেল (পিজি হাসপাতাল) বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। যখন খালেদা জিয়া জানতে পারেন যে, শেখ হাসিনা মারা যাননি, তখনই তিনি প্রশাসনের লোকদের নির্দেশ দেন দ্রুত আলামত নষ্ট করার জন্য এবং যা যা দরকার তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য, যাতে তার ওপর কোনো দোষ না পরে। প্রকাশ্যে মিডিয়ার সামনে জানান যে, ঘটনাটি একটু দুঃখজনক ব্যাপার, একটি দুর্ঘটনা। এ ব্যপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। কিন্তু প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিয়ে জজ মিয়া নাটক সৃষ্টি করে সঠিক বিচারের কবর দেন। বেগম খালেদার হুকুমে হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে।’