আন্তর্জাতিক

এক বছরে হামাসের ৪০ হাজার স্থাপনায় আঘাত হেনেছে ইসরায়েল

  প্রতিনিধি ৭ অক্টোবর ২০২৪ , ৪:৪২:৩২ প্রিন্ট সংস্করণ

এক বছরে হামাসের ৪০ হাজার স্থাপনায় আঘাত হেনেছে ইসরায়েল
ছবি: সংগৃহীত

হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধের এক বছর পূর্ণ হচ্ছে আজ। এই এক বছরে গাজায় হামাসের ৪০ হাজারের বেশি লক্ষ্যবস্তুতে বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। সোমবার (৭ অক্টোবর) ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, এই সময়ে হামাসের ৪ হাজার ৭০০টি টানেলের মুখ খুঁজে পেয়েছে তারা। ধ্বংস করেছে এক হাজারটি রকেট লঞ্চার সাইট। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।  

সামরিক বাহিনী আরও জানিয়েছে, এই এক বছরে তারা গাজায় হামাসের ৮ জন ব্রিগেড কমান্ডার, ৩০ জন ব্যাটালিয়ন কমান্ডার এবং ১৬৫ জন কোম্পানি কমান্ডারকে হত্যা করেছে।

সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তারা লেবাননে হামলা চালিয়ে ৮০০ এর বেশি ‘সন্ত্রাসী’ হত্যা করেছে। এছাড়া ৪ হাজার ৯০০ লক্ষ্যবস্তুতে আকাশ থেকে এবং প্রায় ৬ হাজারের বেশি লক্ষ্যবস্তুতে স্থল অভিযান চালিয়েছে। পশ্চিম তীর ও জর্ডান উপত্যকা থেকে ৫ হাজারের বেশি সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করেছে ইসরায়েলি বাহিনী।

ইসরায়েলি সেনাদের হতাহতের সংখ্যাও প্রকাশ করেছে তেল আবিব। জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর থেকে ৭২৬ ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছে। এর মধ্যে গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় ৩৮০ সেনা ও গত ২৭ অক্টোবর ৩৪৬ সেনা নিহত হয়েছে। এছাড়া তাদের ৪ হাজার ৫৭৬ জন সেনা আহত হয়েছে। এর মধ্যে ৫৬ সেনা অপারেশনাল দুর্ঘটনার মারা গেছে, যা সামরিক বাহিনী উল্লেখ করেনি।

ইসরায়েলের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ৩ লাখ রিজার্ভ সেনা মোতায়েন করেছে সামরিক বাহিনী। এর মধ্যে ৮২ শতাংশ পুরুষ এবং ১৮ শতাংশ নারী। এই সেনাদের বেশিরভাগের বয়স ২০ থেকে ২৯ বছরের মধ্যে।

যুদ্ধ শুরুর পর গাজা থেকে ইসরায়েলে ১৩ হাজার ২০০ রকেট ছোঁড়া হয়েছে। লেবানন থেকে ১২ হাজার ৪০০, সিরিয়া থেকে ৬০, ইয়েমেন থেকে ১৮০ এবং ইরান থেকে ৪০০ রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে দাবি করেছে সামরিক বাহিনী।

গত বছরের ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে হামলা চালিয়েছিল হামাস যোদ্ধারা। এতে ১ হাজার ১৩৯ ইসরায়েলি নিহত হয়। প্রায় ২৫০ জনকে জিম্মি করে রাখে হামাস। এর জবাবে ওই দিন থেকেই গাজায় হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। হামলায় এখন পর্যন্ত প্রায় ৪১ হাজার ৮৭০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে কমপক্ষে ৯৭ হাজার ১৬৬ জন বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

আরও খবর

Sponsered content