প্রতিনিধি ১০ নভেম্বর ২০২০ , ১১:৪৮:৪৩ প্রিন্ট সংস্করণ
ভোরের দর্পণ ডেস্ক:
এর আগে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) তাকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করে। আবেদনের পর আদালতে তাকে কারাগার থেকে আদালতে উপস্থিত করার জন্য নির্দেশ দেন। মঙ্গলবার তার উপস্থিতিতে বিচারক শুনানি শেষে তাকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।
গত ১২ সেপ্টেম্বর রাজধানীর রমনা থানায় সম্রাটের বিরুদ্ধে অর্থপাচারের অভিযোগে মানি লন্ডারিং আইনে মামলা করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। মামলায় সম্রাটের অন্যতম সহযোগী এনামুল হক আরমানকেও আসামি করা হয়।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, সম্রাট ২০১১ সালের ২৭ ডিসেম্বর থেকে ২০১৯ সালের আগস্ট পর্যন্ত সিঙ্গাপুরে ৩৫ বার, মালয়েশিয়ায় তিনবার, দুবাই এবং হংকংয়ে একবার করে ভ্রমণ করেন। তার সহযোগী আরমানও একই সময়ে বেশ কয়েকবার এসব দেশে যাতায়াত করেন। যাতায়াতের মাধ্যমেই তারা বিদেশে ১৯৫ কোটি টাকা পাচার করেছেন। এই টাকা দিয়ে দেশগুলোতে তারা নামে-বেনামে প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। যা তদন্তের মাধ্যমে বের করা হবে।
গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু করে এলিট ফোর্স র্যাব। ক্যাসিনো তদন্তে নেমে ওই সময় যুবলীগ নেতা সম্রাটে সংশ্লিষ্টতা নিশ্চিত হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
গত বছরের ৫ অক্টোবর ভোর ৫টার দিকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জুশ্রীপুর গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয় আত্মগোপনে থাকা সম্রাটকে। তার সঙ্গে সহযোগী আরমানকেও আটক করা হয়। ঢাকায় এনে তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদও করে র্যাব। পরে সম্রাটের কার্যালয় থেকে প্রাণীর চামড়া পাওয়ায় ৬ মাসের সাজা দেন র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এছাড়া সম্রাট ও আরমানের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে মামলা রয়েছে। তারা বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।