প্রতিনিধি ২২ এপ্রিল ২০২০ , ৫:০৭:২৫ প্রিন্ট সংস্করণ
ঝালকাঠি প্রতিনিধি : ঝালকাঠি সদর সার্কেলের অতিরিক্ত এসপি হিসেবে কর্মরত এম. এম. মাহমুদ হাসান। তিনি করোনা পরিস্থিততে প্রশাসনিক দ্বায়িত্ব পালন ও জন সচেতনতা তৈরি করতে সারাদিন থাকেন কর্মক্ষেত্রে। আর রাতের আধারে নিম্ন আয় ও মধ্যবিত্ত্বদের তালিকা করে ঘরে ঘরে পৌঁছৈ দিচ্ছেন ত্রাণসামগ্রী। আর এটি করছেন, নিজের বেতন থেকে কিছু টাকা বাচিঁয়ে এবং বন্ধু–বান্ধবের কাছ থেকে টাকা ধার করে। করোনারোধে প্রতিদিনই তিনি সকাল থেকে রাত অবধি জনগনের সেবায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
ঝালকাঠির গাবখান ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের বৈদারাপুর গ্রামের একজন বৃদ্ধা, স্বামী, পরিত্যক্তা মেয়ে ও তার নাতিসহ চার সদস্যের পরিবার নিয়ে খুবই কষ্টে আছেন। এমন সংবাদ পেয়ে গতকাল বৃদ্ধাকে চাল, ডাল, তৈল, আলু ও পেঁয়াজসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় অন্যান্য খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন মাহমুদ হাসান। অনুসন্ধানে জানা গেছে, শুধু এই একটি পরিবারই নয়, প্রতিদিন অন্তত কয়েকটি পরিবারকে এভাবে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী কিনে নিজ দায়িত্বে রাতের আধারে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিচ্ছেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।
এম. এম. মাহমুদ হাসান কালের কন্ঠকে বলেন, করোনার প্রভাবে খেটে–খাওয়া এমনকি মধ্যবিত্ত পরিবারও লকডাউনে কর্মহীন হয়ে পড়েছে। তারা না পারছেন লাইনে দাড়িয়ে ত্রান নিতে, না পারছেন পরিচিত জনদের কাছে সহযোগিতা চাইতে। এমন বেশ কিছু পরিবারের সাথে আমার নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে।
কারণ প্রতিনিয়তই ঝালকাঠি জেলার অনেক মানুষ যারা দেশের বিভিন্ন জেলায় কর্মরত রয়েছেন এমনকি প্রবাসীরা ও বিভিন্ন মাধ্যমে বিশেষকরে ফোন কল, ফেসবুক মেসেঞ্জারে আমাকে তাদের পরিবারে খাদ্য সংকটের কথা জানান। এসব সংবাদ পেয়ে আমি তাদেরকে আশ্বস্ত করি এবং সার্মথ্য অনুযায়ী তাদের পরিবারে অতিগোপনে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেই। তিনি দেশের চলমান সংকট মোকাবিলায় সমাজের সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্ব নেওয়ার অনুরোধ জানান।