এ তথ্য নিশ্চিত করে সোনিয়া ওয়াহিদ জারা বলেন, আমাকে প্রথমে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের কথা বলে কাজে নেয়। আমি জানতাম না এটি ওয়েব সিরিজ। তাছাড়া এমন কিছু দৃশ্যের শট নিয়েছে যে বিষয়ে আমি অবগত ছিলাম না। যখন জানতে পারি, এটি ১৮+ ওয়েব সিরিজ এবং কিছু অশ্লীল দৃশ্য রয়েছে তখন রানাকে দৃশ্যটি না রাখার অনুরোধ করি। শুধু তাই নয়, কিছু টাকা দেওয়ারও প্রস্তাব দিই। কিন্তু রানা বলেন, ‘এরকম দৃশ্য না থাকলে ভিউ হবে না।’ রানা যা করেছে তা অন্যায়। আমি তাকে এই অশ্লীল কনটেন্ট ছাড়তে নিষেধ করা সত্ত্বেও সে তা ইউটিউবে মুক্তি দেয়। তাই তার নামে মামলা করতে বাধ্য হই।
রানা কয়েন মাস আগে ওয়েব সিরিজে অশ্লীলতার বিরুদ্ধে বেশ সোচ্চার ছিলেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় এ নিয়ে প্রতিবাদ করতে দেখা যায় তাকে। কিন্তু তিনি নিজেই অশ্লীল ওয়েব সিরিজ নির্মাণ করলেন! রানা বর্তমান নিজেকে পরিচালক বলে দাবি করলেও উল্লেখযোগ্য তেমন কিছু নির্মাণ করেননি তিনি। নিজেকে পরিচালক দাবি করে এফডিসির প্রধান ফটকের সামনে ও মগবাজারের বিভিন্ন স্থানে ব্যানার সাঁটান। এ নিয়ে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি থেকে তাকে জবাবদিহি করলে তিনি পরিচালক শামীমুল ইসলাম শামীমের সহযোগী পরিচালক হিসেবে পরিচয় দেন।
পরবর্তীতে পরিচালক সমিতি শামীমুল ইসলাম শামীমের নামে চিঠি ইস্যু করেন। জবাবে তিনি পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দেন, রানা বর্তমান নামে কোনো সহযোগী পরিচালককে তিনি চেনেন না। সেই আলোচনা শেষ হতে না হতেই আবার নতুন বিতর্কে জড়িয়ে পড়লেন এই কথিত পরিচালক।