প্রতিনিধি ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ , ৫:১১:৩৮ প্রিন্ট সংস্করণ
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় (জাককানইবি)-তে ছাত্রলীগ কর্মীদের পুনর্বাসনের অভিযোগ উঠেছে ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আব্দুর রহিমের বিরুদ্ধে । নিজের রাজনৈতিক কোরামে জনবল বৃদ্ধি করে ক্যাম্পাসে প্রভাব বিস্তার করার লক্ষ্যে তিনি এমন কর্মকাণ্ড চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের বেশ কয়েকজন সিনিয়র নেতৃবৃন্দ । বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে সাবেক ছাত্রলীগ কর্মীদের সিট দিয়ে এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক সুবিধা প্রদান করে ছাত্রলীগের আন্ডার কভার এজেন্ট হিসেবে কাজ করছেন তিনি ।
জানা যায়, ১৬ জুন ২০২১ তারিখে গঠিত হওয়া জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, জাককানইবি শাখার আহ্বায়ক কমিটিতে সদস্য পদ লাভ করেন ফিল্ম এন্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের ২০১৫-১৬ বর্ষের শিক্ষার্থী আব্দুর রহিম । অপরদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদ ছাত্রলীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক পদেও ছিলেন তিনি । একেক সময় একেক দলের ছত্রছায়ায় রাজনীতি করা এই শিক্ষার্থী গত ৫ আগস্টের ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর প্রকাশ্যে ছাত্রদলের ব্যানারে রাজনীতি করতে শুরু করেন । ইতিমধ্যেই ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ করা শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশকে তিনি ছাত্রদলের আশ্রয়ে পুনর্বাসন করে নিজস্ব বলয় তৈরি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছেন ।
এবিষয়ে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের যুগ্ন আহ্বায়ক হিমেল আহমেদ বলেন, কলা অনুষদ ছাত্রলীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক কোন আব্দুর রহিম ছিলেন তা আমার জানা নেই । তবে সে যদি ছাত্রলীগের কাউকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করে সেটা সংগঠনের দেখা উচিত ।
অপরদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তানভীর হোসেন পাপ্পু বলেন, ফিল্ম এন্ড মিডিয়া বিভাগের ১৫-১৬ ব্যাচের আব্দুর রহিম আমার কমিটিতে ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছে । তখন সে অন্য কোন মতাদর্শের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিল কিনা তা আমার জানা ছিল না ।
আব্দুর রহিমের এমন কর্মকাণ্ডের বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল – জাককানইবি শাখার আহ্বায়ক ইমরান প্রধান বলেন, সে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যুক্ত ছিল এমন কোনো তথ্য আমার জানা নেই । তবে স্বৈরাচারী ও ফ্যাসিবাদী আওয়ামীলীগের দোসরদের পুনর্বাসনের কোনো সুযোগ দেয়া হবে না । কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী ছাত্রদলে নতুন করে কাউকে পদায়ন কিংবা অন্তর্ভুক্তিকরণ বন্ধ রয়েছে ।
আওয়ামী সরকারের সময় অনেক সাধারণ শিক্ষার্থীকে জোরপূর্বক ছাত্রলীগ করতে বাধ্য করা হতো । বাধ্য হয়ে প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষভাবে অনেকেই ছাত্রলীগের সাথে যুক্ত ছিল, তার মানে এই নয় যে সবাই প্রকৃতপক্ষেই ছাত্রলীগ করতো । আমি সুনির্দিষ্ট করে বলতে চাই যে, ছাত্রলীগের পদধারী কিংবা চিহ্নিত কোনো সন্ত্রাসী ছাত্রদলে ঠাঁই পাবে না ।