প্রতিনিধি ৬ এপ্রিল ২০২০ , ৭:৫০:১৬ প্রিন্ট সংস্করণ
আকিকুল ইসলাম, ধোবাউড়া (ময়মনসিংহ) : ময়মনসিংহের সীমান্তবর্তী উপজেলা ধোবাউড়া। জেলা সদর থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত উপজেলাটিতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মাত্র ১ টি। উপজেলার ৭ টি ইউনিয়ন থেকে প্রতিদিন শত শত রোগী চিকিৎসা নিতে আসেন এই স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সটিতে। কিন্তু সম্প্রতি করোনা ভাইরাস (কভিড-১৯) সারা বিশ্বে মহামারী সৃষ্টি হলে ভয়ে আতংকে হাসপাতাল ছেড়ে দিয়েছে রোগীরা। অনেকে বিভিন্ন ধরনের রোগ নিয়ে বাড়িতেই অবস্থান করছেন। এই উপজেলার দরিদ্র খেটে খাওযা মানুষের চিকিৎসা সেবার একমাত্র হাসপাতাল এটি। যেখানে প্রতিদিনি শত শত রোগীর চিকিৎসা নিয়ে হিমশিম খেতে হতো ডাক্তারদের সেখানে ৫০ শয্যার এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি এখন রোগী শুণ্য হয়ে পড়েছে। সারাদেশে অঘোষিত লকডাউনে যাওয়ায় হাসপাতালে রোগীদের ভীড় নেই। একই অবস্থা প্রাইভেট ক্লিনিকগুলোর। রোগী না থাকায় ক্লিনিকগুলোও বন্ধ রাখা হয়েছে। হাসপাতালের বর্হিবিভাগেও চাপ নেই। জরুরী কেউ চিকিৎসা নিতে আসলেও তাৎক্ষনিক বাড়িতে চলে যাচ্ছেন। সন্দেভাজন এক করোনা আক্রান্ত রোগী ভর্তি হওয়ায় যে কয়জন রোগী ছিল তারাও চলে গেছে। যদিও হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পরিক্ষা নিরিক্ষা করে জানান ঐ রোগী আগে থেকেই এজমায় ভোগছিলেন। এখন পর্যন্ত ধোবাউড়া উপজেলায় করোনা আক্রান্ত কোন রোগী পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে ধোবাউড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: আবু হাসান শাহিন বলেন, আমরা সন্দেহভাজন তিনজনকে পরিক্ষার জন্য পাঠিয়েছিলাম কিন্তু নেগেটিভ রেজাল্ট এসেছে। রোগীদের সেবা বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান রোগী না আসলেও মোবাইলে সেবা দেওয়া হচ্ছে। করোনা সন্দেহ হলে প্রাথমিক আইসোলেশনের ব্যবস্থা রয়েছে।