প্রতিনিধি ১৭ এপ্রিল ২০২০ , ৬:০৬:২৯ প্রিন্ট সংস্করণ
ভোলা প্রতিনিধি : করোনার প্রভাবে দেশ প্রায় অবরুদ্ধ। কৃষক তাঁর ফসল নিয়ে পড়েছেন বিষম বিপাকে। ভোলা সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের বিচ্ছিন্ন এলাকা রামদাসপুর। সেখানকার সরেজমিন পরিদর্শন করে সরদার রিহান জানান কয়েকবছর আগেও এখানকার যেসব জমিতে ধান চাষ হতো কিংবা ধুলোট ফসল ফলাতো। গতপ্রায় এক দশক যাবত ধানচাষীরা রেখা, করলা, শশা, বরবটি, কুমড়া ইত্যাদি মৌসুমি সবজি ফলাতে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। এতে করে নদীভাঙ্গন কবলিত এই জনপদে শিক্ষিত বেকার, স্থানীয় চাষিরা ভালোই স্বাবলম্বী হইতেছিলো।
সাধারণত এক বিঘা জমিতে বীজ বপন থেকে জমি প্রস্তুত, মাচাঙ্গ তৈরি, কীটনাশক সবকিছু মিলিয়ে ফসল তোলা পর্যন্ত কমবেশি সাড়ে চারলাখ থেকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ হয়ে থাকে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে বিঘাপ্রতি আড়াই থেকে চার মাসে তিন থেকে চার লাখ টাকা আয় করা সম্ভব। এবছর করোনার প্রভাবে বাজার না পাওয়ায় পচিয়ে ফেলতে হচ্ছে এসব কৃষি পণ্য। তাতে করে কৃষকরা যেমন ঋণে জর্জরিত হবে তেমনে আগামী ফসল ফলাতে অনাগ্রহী হবে। এ জেলার চরফ্যাশন উপজেলায় তরমুজের ব্যাপক চষাবাদ হয়।
পরিবহণ ও শ্রমিক সংকটে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা। এখানে প্রতিটি তরমুজ গড়ে ৪০ থেকে ৮০ টাকা পর্যন্ত বিক্র হচ্ছে। আগাম জাতের তরমুজ বিভিন্ন খেতে পাকতে শুরু করেছে। কিছু কৃষক এগুলো বাজারজাত করলেও দাম কম থাকায় দিশেহারা কৃষক। এছাড়া জেলায় ছোট ছোট ডেইরি ফার্ম করেছেন অনেকে। তাঁরাও সংকটে। গোখাদ্যের অভাব।মিষ্টির দোকান বন্ধ থাকায় গরুর দুধ কেনার ক্রেতা নেই। উপশহর বাংলাবাজার ঘুরে দেখা যায় যে দুধ করোনার আগে ছিল ৬০–৭০ টাকা লিটার, এখন তা ২০–২৫ টাকা দরেও ক্রেতা পাওয়া যায় না।
এদিকে ভোলা ২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজম মুকুল বোরহাউদ্দিনে ৭০০ কৃষকের মধ্যে বীজ ও সার বিতরন করেছেন। তার অপর নির্বাচনী উপজেলা দৌলতখানের নলগোড়ার কৃষক ছিডু মিয়া বলেন “এমপি সাব আমাগোরে যদি এভাবে সহযোগিতা করত আমাদের অনেক উপকার হত“। সচেতন মহল মনে করছেন সরকারের ঘোষিত কৃষি প্রণোদনার আওতায় এনে কৃষকদের যদি সরকারি সহযোগিতা করা যায় দেশের এ ক্রান্তিলগ্নে তবেই হয়তো কৃষকরা ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম হবে।