প্রতিনিধি ৬ জুলাই ২০২০ , ৮:১৩:৫৮ প্রিন্ট সংস্করণ
বাপ্পা মৈত্র, সিলেট : প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক অপরূপ লীলাভ‚মি সিলেট। মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে সিলেটের পর্যটন খাত। সিলেটে পর্যটনের সঙ্গে জড়িত প্রায় ১০ হাজার মানুষ করোনার জন্য বর্তমানে বেকার জীবন যাপন করছেন। নৈসর্গিক সৌন্দর্যে ভরপুর সিলেটের পর্যটন। এখানে রয়েছে ছোট-বড় পাহাড়-টিলা, হাওর, নদী, বনা ল, ঝরনার অপরূপ সমারোহ নিয়ে পর্যটকদের জন্য অপেক্ষায় রয়েছে সিলেট অ ল। কিন্তু প্রাণঘাতী নভেল করোনা ভাইরাসের দেশে ধরা পড়ার পর থেকেই সিলেটের হোটেল-মোটেল বন্ধ, পর্যটনকেন্দ্রগুলো ফাঁকা, নেই পর্যটকদের আনাগোনা। কবে এ খাত আবার সচল হবে, তাও বলা যাচ্ছে না। অথচ পর্যটন নগরী সিলেটে পর্যটক সমাগম সারা বছর লেগেই থাকত। ছুটির দিনগুলোয় কোনো হোটেল-মোটেলের কক্ষ খালি পাওয়া যেত না। মহামারি করোনার কারণে তিন মাস ধরে হোটেল-মোটেলে ব্যবসা নেই। বিপাকে পড়েছেন পর্যটন খাতের কর্মীরাও। এরই মধ্যে অনেকেরই চাকরি চলে গেছে। আর বেশির ভাগকেই ছুটি দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ছুটিকালীন বেতনও পাচ্ছেন না তারা। পর্যটন খাতে এখনো বিরাজ করছে স্থবিরতা। পারছেন না সংশিষ্টরা। ফলে ঘোর অন্ধকার দেখছেন উদ্যোক্তারা। এ অবস্থায় হোটেল-মোটেলের অনেক উদ্যোক্তাই ব্যবসা গুটিয়ে নেওয়ার কথা ভাবছেন।
সিলেট নগরের আম্বারখানাস্থ হোটেলে কাজ করা কয়েকজন কর্মীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মার্চ থেকেই ছুটিতে রয়েছেন তারা। মার্চের বেতন পেলেও এপ্রিল থেকে বেতন পাচ্ছেন না। সিলেটের পর্যটন খাতের ৯০ শতাংশ কর্মীই এভাবে এপ্রিল থেকে বেতনহীন অবস্থায় রয়েছেন। সিলেটের হোটেল-মোটেল মালিকরা বলছেন, প্রতিদিন কেবল সিলেটের হোটেল-মোটেল খাতে প্রায় ৩কোটি টাকা ক্ষতি হচ্ছে।
সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি আবু তাহের মো. শোয়েব বলেন, ট্রেডিং, পর্যটন আর আমদানি-রফতানিই এখানকার প্রধান ব্যবসা। এ তিন খাতের ব্যবসায়ীরাই এখন করোনার কারণে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এর মধ্যে পর্যটন খাতের উদ্যোক্তারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। সিলেট হোটেল, মোটেল ও গেস্ট হাউজ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুমাত নুরী জুয়েল বলেন, তিন মাস ধরে হোটেল-মোটেলে ব্যবসা নেই। এ অবস্থা চলতে থাকলে অনেকেই ব্যবসা গুটিয়ে নেবে। সিলেটে পর্যটন খাতে প্রতি মাসে প্রায় ১০০ কোটি টাকা ক্ষতি হচ্ছে।