প্রতিনিধি ২২ মে ২০২০ , ৮:৪৫:৫০ প্রিন্ট সংস্করণ
মো: সাইফুল ইসলাম,নরসিংদী : করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় নরসিংদী সদরের সহকারি কমিশনার (ভূমি) এসিল্যান্ড শাহ্ আলম মিয়ার কার্যকালাপ সর্বমহলে প্রশংসনীয় হয়ে উঠেছে। মৃত্যুর ভয় দূর করে করোনা ভাইরাসের শুরু থেকেই নরসিংদীর সদর বাসীকে বাঁচাতে দিন রাত এক করে কাজ করছেন এই কর্মকর্তা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নরসিংদীর জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দা ফারহানা কাউনাইনের নির্দেশনায় করোনা ভাইরাসের প্রার্দুর্ভাব ও সংক্রমণ প্রতিরোধে গত দুই মাস ধরে নরসিংদীকে বাঁচাতে এসিল্যান্ড শাহ্ আলম মিয়া জীবন বাজি রেখে জনসচেতনতা বৃদ্ধি, প্রচার-প্রচারনা.মাইকিং,লকডাউন, হোম কোয়ারেন্টাইন,সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করন, দ্রব্য মূল্য নিয়ন্ত্রণ,বাজার মনিটরিং, ভ্রাম্যমাণ আদালতে অভিযান পরিচালনা করা, উন্মুক্ত স্থানে বাজার স্থান্তারত, করোনায় আক্রান্ত ও মৃত ব্যক্তির বাড়িতে খাদ্যসামগ্রী পৌঁচ্ছানো, করোনা রোগীদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ নিশ্চিত করা, স্বাস্থ্য অবস্থার অবনতি হলে হাসপাতালে ভর্তি নিশ্চিত করণ, করোনার লক্ষণ রোগীদের নমুনা পরীক্ষা নিশ্চত করা, রির্পোট পজেটিভ আসলে তাৎক্ষনীক লকডাউন করা, করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া রোগীদের নিজ নিজ ধর্ম অনুযায়ী স্বাস্থ্য বিধি মেনে দাফন কার্য সম্পাদন নিশ্চিত করা,ত্রাণ বিতণ কার্যক্রম পরিচালনা, বেসরকারি বা সামাজিক সংগঠনদের বা বিশিষ্ট ব্যক্তিদেরকে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ কাজে উৎসাহিত করা ও ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ কাজ পরিচালনা করা, এলাকার সেচ্ছাসেবী ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের লোকজনকে নিয়ে কৃষকের ক্ষেত্রের পাকা ধান কাটার উৎসাহ দেওয়া, ধান কাটার মেশিন কৃষকদের মধ্যে উদ্বোধন করা, অসহায় ও ছিন্নমূল মানুষের মাঝে ইফতার ও প্রতিবন্ধীদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা ,রাতের আধারে মধ্যবিত্ত পরিবারের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী পৌঁচ্ছে দেওয়া, ব্যাংকগুলোতে মনিটরিং করে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা, অকারনে বাইরে ঘুরা ফেরা না করার পর্রামশ দেওয়া, হাতধোয়ার জন্য শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ব্যসিং ওয়াস স্থাপন কাজে তদারগী করা, মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণসহ বিভিন্ন কার্যকালাপ মাঠ পর্যায়ে পরিচালনা করে নরসিংদীর সর্বমহলে প্রশংনীয় হয়ে উঠেছেন মানবতা প্রেমি এসিল্যান্ড শাহ্ আলম মিয়া।
ফলে এখানকার জনগণ ও প্রশাসনের দূরত্ব অনেকটা কমে গেছে। তাকে নরসিংদীর সুশীল সমাজ ও সামাজিক মিডিয়া ইতোমধ্যে প্রথম সারির এক নাম্বার করোনা যোদ্ধা বলে স্বীকৃতি দিয়েছেন। জানা যায়, তার ঘরে রয়েছে নয় মাসের সন্তানসম্ভবা স্ত্রী ও ষাটোর্ধ হৃদরোগে আক্রান্ত মমতাময়ী মা। অথচ তিনি লড়ে যাচ্ছেন হার না মানা এক অদম্য সাহসী যোদ্ধার মত।
ভাই গিরিশচন্দ্র সেন পাঠাগারের সভাপতি শাহীনুর মিয়া জানান, করোনা প্রতিরোধে অগ্রনী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন এসিল্যান্ড শাহ্ আলম মিয়া স্যার । তিনি একজন মানবতা প্রেমী সাহসী যোদ্ধা। অন্যায়ের সাথে আপোষহীন,ন্যায়পরায়ণ পরোপকারী একজন মানুষ। তিনি নরসিংদী সদরবাসীর মানবতার মূর্ত প্রতীক । জেলা পূজা উৎযাপন পরিষদের সাধারন সম্পাদক দীপক সাহা বলেন,করোনায় ভাইরাস মোকাবিলায় এসিল্যান্ড শাহআলম মিয়া স্যার নরসিংদীতে সম্মুখযোদ্ধার দায়িত্ব পালন করছেন । দিনরাত এক করে মানবতার কাজ করছেন। যেটা নাকি বর্তমান পরিস্থিতিতে বিরল ঘটনা। যেখানে করোনায় আক্রান্ত মৃত মায়ের লাশ ধরতে চায় না সন্তান, আত্মীয় লাশ আত্মীয় ধরে না। সেখানে স্যার জীবনের বাজি রেখে এই কাজ গুলো করে যাচ্ছেন। স্যারের প্রতি হাজারও কৃতজ্ঞ।
নরসিংদী প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক নরসিংদী কাগজ পত্রিকার সম্পাদক এ আউয়াল জানান, করোনার প্রভাব ঠেকাতে মাঠ পর্যায়ে এসিল্যান্ড শাহ্ আলম মিয়া মহোদয় নরসিংদীকে বাঁচাতে অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে কাজ করে যাচ্ছেন। নরসিংদী বাসীকে হৃদয়ের থেকে ভালবেসে সকলের কাছে একজন ভাল ও উচ্চ মনের মানুষ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন। করোনা ভাইরাসের প্রভাবে নরসিংদী সদরকে তিনি যেভাবে শৃঙ্খলায় রেখেছেন তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়।
নরসিংদী সদর উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভূমি) এসিল্যান্ড শাহ্ আলম মিয়া বলেন, আমার চাওয়া পাওয়ার কিছু নেই। এখানে যোগদানের পর থেকে নিজেকে প্রজাতন্ত্রের একজন সেবক হিসেবে অর্পিত দায়িত্ব পালন করে চলেছি মাত্র। জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দা ফারহানা কাউনাইন স্যারের নির্দেশনায় দায়িত্ব পালন করছি। তিনি করোনার প্রাদুর্ভাব ও সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকারি বিধি মোতাবেক স্বাস্থ্যবিধিসহ সব নির্দেশনা মেনে চলা ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ সবাইকে নিজ নিজ বাড়িতে থাকার আহ্বান জানান।