প্রতিনিধি ২৩ এপ্রিল ২০২০ , ৬:৩৪:১৬ প্রিন্ট সংস্করণ
মোঃ আল–আমিন, কলাপাড়া (পটুয়াখালী) : গত দুই বছর ধরে সেতুটির বেহাল অবস্থা থাকার পর অবশেষে ভেঙ্গে পরছে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার খাপড়াভাঙ্গা ও লতাচাপলী ইউনিয়নের মাঝ খানে নদীর উপর আয়রণ সেতুটি। বুধবার রাত সাড়ে আটটার দিকে সেতুটি ভেঙ্গে নদীতে পড়ে যায়। এতে কেউ হতাহত না হলেও অন্তত ১৫টি গ্রামের সাথে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। এতে দূর্ভোগে পড়ে হাজার হাজার মানুষ।
১০ বছর আগে নির্মান করা এ আয়রন সেতুটির অধিকাংশ স্লাব ভেঙ্গে যায়, মূল কাঠামোতে মরিচা ধরে কাত হয়ে ছিল প্রায় দুই বছর। লতাচাপলী ইউপি চেয়ারম্যান মো. আনসার মোল্লা জানান, ২০০৮–২০০৯ অর্থ বছরে বরকতিয়া ও লক্ষীবাজারের মাঝ দিয়ে বহমান নদীর উপর আয়রণ সেতুটি নির্মাণ করা হয়। গত প্রায় দুই বছর ধরে সেতুটির বরকতিয়া অংশের স্লবগুলো ভেঙ্গে যায়।
লোহার কাঠামোতে মরিচা ধরে ভেঙ্গে একদিকে কাঁত হয়ে যায়। সেতু ভেঙ্গে দূর্ঘটনা এড়াতে সেতুর লক্ষীবাজার অংশের কাঠের বেড়া ও সেতুর উপর গাছ রেখে সকল যান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হলেও ঝুঁকি নিয়ে ১৫ টি গ্রামের মানুষ সেতুর উপর দিয়ে চলাচল করতো। এ সেতু ভেঙ্গে যাওয়ায় ফাতেমা হাই মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ পাঁচটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সহস্রাধিক শিক্ষার্থীসহ গ্রামবাসীরা জরুরী পণ্য ক্রয়–বিক্রয়ে এখন দূর্ভোগে পড়েছে।
লক্ষী বাজারের ব্যবসায়ী রবীন কর্মকার জানান, বুধবার রাত সাড়ে আটটার দিকে হঠাৎ বিকট শব্দে সেতুটি ভেঙ্গে নদীতে পড়ে যায়। এতে সেতুর ভাঙ্গা অংশ নদীতে পড়ে যাওয়ায় বন্ধ হয়ে যায় নৌ–যোগাযোগও।
এ ব্যাপারে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মো.শহিদুল হক জানান, এই মুহুর্তে যোগাযোগ চালু রাখতে সেতুর পাশে একটি খেয়া নৌকা বসানো হয়েছে। জরুরী ভিত্তিতে সেতুটি ভেঙ্গে ওই স্থানে নতুন একটি সেতু নির্মানের উদ্যোগ নেয়া হবে।