প্রতিনিধি ৩ মার্চ ২০২১ , ৯:৩২:৫৪ প্রিন্ট সংস্করণ
বুধবার (৩ মার্চ) দুপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খান বলেন, বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্তগুলোর বিষয়ে গণমাধ্যমকে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হবে। তবে আবদুল কাদের মির্জার সাথে ভবিষ্যতে রাজনীতি না করার বিষয়ে এবং তাকে দল থেকে বহিষ্কারের সুপারিশ কেন্দ্র ও জেলায় পাঠানোর বিষয়টি স্বীকার করেছেন তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুর নবী চৌধুরী বলেন, আবদুল কাদের মির্জাকে বহিষ্কারের বিষয়ে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময় ৭১ সদস্যের মধ্যে ৪২ জন নেতা উপস্থিত ছিলেন।
আওয়ামী লীগের নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, ৭১ সদস্য বিশিষ্ট উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটির ৪২জন সদস্য ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন। সভায় বক্তাগণ সাম্প্রতিক সময়ে বসুরহাট পৌরসভা নির্বাচনের আগে-পরে ও অধ্যবদি মেয়র আবদুল কাদের মির্জা জাতীয় নির্বাচন, দুর্নীতি অনিয়মসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের বিরুদ্ধে সত্য বলার নামে জঘন্য মিথ্যাচার করছেন। কাদের মির্জার এসব বক্তব্য দলীয় গঠনতন্ত্রের সম্পূর্ণ পরিপন্থী। এজন্য সর্বসম্মতি সিদ্ধান্তক্রমে অবিলম্বে কাদের মির্জাকে দল থেকে বহিষ্কারের জন্য আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ও নোয়াখালী জেলা কমিটিকে লিখিত সুপারিশ পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার (২ মার্চ) চরকাঁকড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খিজির হায়াতের নিজ বাড়িতে তার সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুর নবী চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল, সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ভাগ্নে সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি মাহবুবুর রশীদ মঞ্জু, ফখরুল ইসলাম রাহাত, সাবেক ছাত্রনেতা আলাল, চরহাজারী ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল হুদা, চরএলাহী ইউপি চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাক সহ সভায় উপস্থিত বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বিগত কয়েক মাস যাবৎ দলের কেন্দ্র থেকে জেলা-উপজেলা পর্যায়ের নেতাদের সমালোচনা করে আসছিলেন। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি মেয়র কাদের মির্জা ও তার প্রতিপক্ষ সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল গ্রুপের সংঘর্ষে সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির নিহত হবার ঘটনাসহ আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটে। এসব ঘটনাকে কেন্দ্র করে দলের কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে নির্দেশনা আসায় নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগ কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সকল কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত স্থগিত করে দেয়।