প্রতিনিধি ২৬ মে ২০২১ , ৮:৪৬:৫১ প্রিন্ট সংস্করণ
দিনাজপুরের কাহারোলে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার উপজেলায় ইরি-বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। বর্তমানে উপজেলায় সর্বত্র ধান কাটা মারাইয়ের কাজ শুরু হয়েছে।
কোথাও কৃষক ক্ষেতের ধান কাটছে। কেউবা ক্ষেত থেকে কাটা ধান বহন করে নিয়ে যাচ্ছে। আবার কেউ কেউ তা ঝাড়াই-মাড়াইয়ের ব্যস্ত সময় অতিবাহিত করছে। ফলে কৃষকদের বাড়ি উঠান খুলী ও গ্রামীণ বিভিন্ন পাকা রাস্তায় চলছে ধান মাড়াইয়ের কাজ।
এবার ভালো ফলন এবং ধানের ভালো দাম পেয়ে কৃষকরা বেজায় খুশি। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এবার লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫৪৩০ হেক্টর। অর্জিত ৫২৭২ হেক্টর। উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে এ বছর ইরি-বোরো মৌসুমের শুরু থেকে আবহাওয়া সম্পূর্ণ অনূকূলে ছিল। সেচ নির্ভর ইরি-বোরো ক্ষেতে সেচের কোনো সংকট দেখা না যাওয়ায় রোগ-বালাইয়ের তেমন কোনো আক্রমণ ছিল না তবে আবাদের শেষ দিকে এসে বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষিপ্তভাবে ব্লাস্ট রোগের আক্রমণ দেখা দেয়।
কিন্তু কৃষি বিভাগ কৃষকদের সার্বক্ষণিক পাশে থেকে সার্বিক দিক নির্দেশনা দেওয়ায় সেটি তেমন ছড়াতে পারেনি।
উপজেলার সুন্দরপুর ইউনিয়নের সুন্দরপুর গ্রামের আদর্শ কৃষক শ্রী পরেশ চন্দ্র রায় জানান, এবার তার আবাদকৃত সব জাতের ধানের ফলন ভাল হয়েছে। বিঘা প্রতি ফলন মিলেছে ১২ থেকে ১৫ বস্তা পর্যন্ত। বাজারে ধানের দামও ভাল পাওয়া যাচ্ছে। বর্তমানে প্রতি বস্তা (৭৫ কেজি) ধান ১ হাজার ৫শত টাকা থেকে ১ হাজার ৮শ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ আবু জাফর মো. সাদেক জানান, আবাদের শেষ দিকে ২/১ জায়গায় বিক্ষিপ্তভাবে ছত্রাক জাতীয় ব্লাস্ট রোগ দেখা দেয়, তবে আমরা কৃষি বিভাগ থেকে কৃষকদের আগেভাগে সতর্ক ও পরামর্শ প্রদান করি। ফলে কৃষকরা সতর্ক থাকায় ব্লাস্ট রোগে ধানক্ষেত্রের তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি।