প্রতিনিধি ৯ মে ২০২০ , ৫:৫৯:৫২ প্রিন্ট সংস্করণ
কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: সনিয়া আক্তার বয়স ২২ বছর কোলে তার ফুটফুটে দুই বছরের কন্যা সন্তান ইসরাত। দর্জি স্বামী ইমরানের অভাবের সংসারেও সুখের কোন কমতি ছিল না। হঠাৎ তাদের তাদের ভাগ্যে নেমে আসে চরম দূর্ভোগ, ধরা পরে সনিয়ার দু’টি কিডনী নষ্ট। পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার টিয়াখালী ইউনিয়নের পূর্ব টিয়াখালী গ্রামের প্যাদা বাড়ির হতদরিদ্র মো. কুদ্দুস প্যাদার মেয়ে সনিয়া আক্তার (২২) সুখের সাংসার বাঁধে কলাপাড়া পৌর শহরের মঙ্গলসুখ রোডের হাফেজ মো. হারুনের ছেলে দর্জি ইমরানের সাথে। তাদের কোল জুড়ে আসে ইসরাত নামের দুই বছরের একটি কন্যা সন্তান। বেশ ভালই চলছিল তাদের সংসার।
কিন্তু গত বছর একদিন হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পরে সনিয়া। তাকে ঢাকার জাতীয় কিডনী ডিজিজেস ও ইউরোলজী ইনস্টিটিউট’র চিকিৎসক কিডনীরোগ বিশেষজ্ঞ ডা: কাজী শাহনূর আলম পরীক্ষা করে জানান, সনিয়া দীর্ঘ দিন কিডনী রোগে আক্রন্ত তার দু’টি কিডনীই নষ্ট হয়ে গেছে। তাকে বেঁচে থাকতে হলে প্রতি সপ্তাহে কমপক্ষে এক বার ডায়ালেসিস করতে হবে এবং একটি কিডনী প্রতিস্থাপন করলে সে আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে পারবে।
তিনি আরও জনান, তার মা সাহিদা বেগম মেয়েকে একটি কিডনী দান করতে চান। সনিয়ার দরিদ্র বাবা কুদ্দুস প্যাদা ও স্বামী ইমরান জনায়, তাদের শেষ সম্বল বাড়ির জমি জমা বিক্রি করে সেনিয়ার চিকিৎসার জন্য ব্যয় করে এখন সর্বশান্ত হয়ে গেছেন। তার মায়ের দেয়া কিডনী প্রতিস্থাপন করতে ৬ থেকে ৭ লক্ষ টাকার প্রয়োজন। এত বড় অংকের টাকা জোগার করা তার পরিবারের পক্ষে সম্ভব নয়। তাই সনিয়াকে বাঁচানোর জন্য সমাজের হৃদয়বান ও বিত্তবান ব্যাক্তিদের এগিয়ে আসার অবেদন জানিয়েছে তার পরিবার। হৃদয়বান ব্যক্তিরা সাহায্য পাঠাতে পারেন মো. কুদ্দুস প্যাদা বিকাশ ০১৭১৩৬৪৫৭২২ পাসোর্নাল , স্বামী মো. ইমরান ০১৬৮৬৯১০৪৩০ অথবা সরাসরি তাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।