ঢাকা

কিশোরগঞ্জের ত্রাণ কর্মকর্তা কর্তৃক সরকারি অর্থ তছরুপ

  প্রতিনিধি ১৪ নভেম্বর ২০২০ , ৪:০১:৩৪ প্রিন্ট সংস্করণ

কিশোরগঞ্জের ত্রাণ কর্মকর্তা কর্তৃক সরকারি অর্থ তছরুপ

শাহ মোঃ সারওয়ার জাহান, কিশোরগঞ্জ: কিশোরগঞ্জ জেলা ত্রাণ ও পূনর্বাসন কর্মকর্তা (ডিআরও) মোঃ মোকাররম হোসেন এর বিরুদ্ধে মোটা অংকের সরকারি টাকা তছরুপের অভিযোগ উঠেছে।

জানা গেছে, জেলা ত্রাণ ও পূণর্বাসন কর্মকর্তা মোঃ মোকাররম হোসেন ২৫/০২/২০১৮ ইং কিশোরগঞ্জ জেলায় পদোন্নতি প্রাপ্ত হয়ে যোগদান করেন। এর আগে তিনি নেত্রকোনা জেলার দূর্গাপুর উপজেলায় প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা হিসেবে দীর্ঘদিন কর্মরত ছিলেন। আর সেখানে থাকাকালীন বিভিন্ন প্রকল্প সংশ্লিষ্ট আর্থিক লেনদেনে অনিয়ম পাওয়ায় প্রায় ৫ লক্ষাধিক টাকার জরিমানা ধার্য্য করে অডিট আপত্তি উঠে তার বিরুদ্ধে। সরকারি টাকা পরিশোধের হদিস মিলেনি আজও। বিভাগীয় মামলা হালেও তার প্রতিকার হয়নি। ইডকল কোম্পানির প্রতিনিধির সঙ্গে সৌরবিদ্যুৎ প্যানেল স্থাপন সংক্রান্ত বিষয়ে দেনাপাওনা নিয়েও জেলা কর্মকর্তার সঙ্গে মতানৈকতা তৈরী হওয়ায় এনজিও ইডকল কাজ বন্ধ করতে চেয়েছিল।

তথ্য সূত্রে জানা গেছে নওগাঁ জেলা সদর এর ২ নং ওয়ার্ড সরকারি কলেজ রোড এলাকার মৃত তোফাজ্জল হোসেনের পুত্র মোকারম হোসেন। দূর্গাপুর চাকুরী করাকালীন নওগাঁতে হাসনা ভিলা নামে বহুতল ভবন নির্মাণ ছাড়াও রাজধানীর উত্তরা এলাকায় ১৩ নং সেক্টরের ১০ নং রোড এর ১৪ নং বাসাটি যার মূল্য কোটি টাকায় কেনা তার মালিকানাও এ কর্মকর্তার নামে।

জেলা ত্রাণ গুদাম কাম দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা তথ্য কেন্দ্র নামে আলোর মেলাস্থ তিনতলা ভবন নির্মাণ কাজের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কার্য সহকারী ও এ প্রতিনিধিকে উক্ত কর্মকর্তার ঘুষের চাহিদায় তার বিরুক্তি প্রকাশ করেন। দূর্যোগ সহনীয় গৃহ নির্মাণ কাজেও রয়েছে বহুবিধ অভিযোগ। ঘর দেবার নামে মহিলাদের নিকট থেকে টাকা গ্রহণ করার কারণে অনেক সময় দরিদ্র মহিলাদের অফিসে ঘুরাঘুরি করতে দেখা যায়। সে সকল গৃহ নির্মিত হয়েছে এগুলোর মধ্যেও আবার অনেকগুলিতে টয়লেট নির্মাণ না করে অর্থ নয়ছয় করেছেন। আরও জানা যায়, তার এ বিপুল পরিমান টাকার উৎস ও সম্পদের পাহাড় একমাত্র চাকুরী জীবনে স্বেচ্ছাচারিতায় ও অবৈধ সীমাহীন ঘুষ দুর্নীতির মাধ্যমে কামাই করা। দপ্তরের অনার বোর্ডে নামটিও তিনি লিখেন না অভ্যাগতদের বিভ্রান্তিতে ফেলার জন্য।

ভ‚ক্তভোগী ও দমন পীড়নের শিকার অংশীজনদের দাবী সরকারের উন্নয়ন প্রকল্প হরিলুট করে বিপুল পরিমান অর্থ বাণিজ্য, কোটিপতি বনে যাওয়া ও বিশাল অবৈধ সম্পদের উৎস সন্ধানে তথা প্রকৃত রহস্য উদঘাটনে দুদকের অনুসন্ধানী টিমের হস্তক্ষেপ জরুরী বলে মনে করেন।

আরও খবর

Sponsered content