প্রতিনিধি ১৮ নভেম্বর ২০২০ , ৬:৫৪:৩০ প্রিন্ট সংস্করণ
শাহ মো. সারওয়ার জাহান, কিশোরগঞ্জ: কিশোরগঞ্জ জেলা ত্রাণ ও পূনর্বাসন কর্মকর্তা (ডিআরও) মোঃ মোকাররম হোসেনের বিরুদ্ধে মোটা অংকের সরকারি টাকা তছরুপসহ বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছে। জেলা ত্রাণ ও পূণর্বাসন কর্মকর্তা মো. মোকাররম হোসেন ২৫/০২/২০১৮ ইং কিশোরগঞ্জ জেলায় পদোন্নতি পেয়ে যোগদান করেন। এর আগে তিনি নেত্রকোনা জেলার দূর্গাপুর উপজেলায় প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা হিসেবে দীর্ঘদিন কর্মরত ছিলেন। সেখানে দায়িত্ব পালনকালে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রকল্প সংশ্লিষ্ট আর্থিক লেনদেনে অনিয়মের কারণে ৫ লক্ষাধিক টাকার জরিমানা ধার্য্য করে অডিট আপত্তি উঠে। সরকারি টাকা পরিশোধের হদিস মিলেনি আজও। বিভাগীয় মামলা হালেও তার প্রতিকার হয়নি। ইডকল কোম্পানির প্রতিনিধির সঙ্গে সৌরবিদ্যুৎ প্যানেল স্থাপন সংক্রান্ত বিষয়ে দেনাপাওনা নিয়েও জেলা কর্মকর্তার সঙ্গে মতানৈকতা তৈরী হওয়ায় এনজিও ইডকল কাজ বন্ধ করতে চেয়েছিল। তথ্য সূত্রে জানা গেছে নওগাঁ জেলা সদর এর ২ নং ওয়ার্ড সরকারি কলেজ রোড এলাকার মৃত তোফাজ্জল হোসেনের পুত্র মোকারম হোসেন। নেত্রকোনা জেলার দূর্গাপুর উপজেলায় পিআইও হিসেবে চাকুরীকালীন দূর্যোগ সহনীয় গৃহ নির্মাণ কাজেও রয়েছে বহুবিধ অভিযোগ। ঘর দেবার নামে মহিলাদের নিকট থেকে টাকা গ্রহণ করার কারণে অনেক সময় দরিদ্র মহিলাদের অফিসে ঘুরাঘুরি করতে দেখা যায়। সে সকল গৃহ নির্মিত হয়েছে এগুলোর মধ্যেও আবার অনেকগুলিতে টয়লেট নির্মাণ না করে অর্থ নয়ছয় করেছেন। আরও জানা যায়, তার এ বিপুল পরিমান টাকার উৎস ও সম্পদের পাহাড় একমাত্র চাকুরী জীবনে স্বেচ্ছাচারিতায় ও অবৈধ সীমাহীন ঘুষ দুর্নীতির মাধ্যমে কামাই করা। দপ্তরের অনার বোর্ডে নামটিও তিনি লিখেন না অভ্যাগতদের বিভ্রান্তিতে ফেলার জন্য। ভ‚ক্তভোগী ও দমন পীড়নের শিকার অংশীজনদের দাবী সরকারের উন্নয়ন প্রকল্প হরিলুট করে বিপুল পরিমান অর্থ বাণিজ্য, কোটিপতি বনে যাওয়া ও বিশাল অবৈধ সম্পদের উৎস সন্ধানে তথা প্রকৃত রহস্য উদঘাটনে নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া এখন সময়ের দাবী। এ ব্যাপারে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মোকাররম হোসেন এ প্রতিনিধিকে জানান, অর্নার বোর্ডে নাম ভুলবশতঃ লেখা হয়নি। তবে অচিরেই লেখা হবে। অডিট আপত্তি বিষয়ে বলেন, অডিট আপত্তি থাকতে পারে তবে বিভাগীয় মামলার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।