প্রতিনিধি ২০ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ১১:১১:৪৯ প্রিন্ট সংস্করণ
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ফেসবুকে বেশ কিছু ছবি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। প্রচারিত ছবিগুলোর মধ্যে দেখা যায়, কুকুর বধ করে গাড়িতে তোলা হচ্ছে বা কোনো ছবিতে দেখানো হচ্ছে, অনেকগুলো মৃত বেওয়ারিশ কুকুরকে মেরে নর্দমার পাশে ফেলে রাখা হয়েছে। আবার কোথাও দেখানো হচ্ছে বেওয়ারিশ কুকুরকে নিস্তেজ করে বা মেরে খোলা ট্রাকে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। বর্ণিত ছবিগুলি সম্পূর্ণরূপে বানোয়াট ও বিকৃত। এ ধরনের ছবি প্রচার হতে বিরত থাকার জন্য ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন সবাইকে অনুরোধ জানাচ্ছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সচেতন নাগরিকরা একটু মনোযোগ সহকারে খেয়াল করলেই বুঝতে পারবেন, যে ছবিতে কুকুরকে বধ করে গাড়িতে ওঠানো হচ্ছে, সেই ছবির গাড়িতে পেছনে লেখা রয়েছে ‘মন্ত্রণালয়’ অর্থাৎ গাড়িটি কোনো মন্ত্রণালয়ের। কিন্তু ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পরিবহন বিভাগ যথেষ্ট সমৃদ্ধ বিধায় করপোরেশন কখনও কোনো মন্ত্রণালয়ের গাড়ি ব্যবহার করে না বা ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা নেই। তাই গাড়িটি অবশ্যই ডিএসসিসির নয়। এছাড়াও কুকুর অপসারণ কার্যক্রমে কুকুরকে সাময়িকভাবে অচেতন করার জন্য যে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়, সেই ভ্যাকসিন প্রয়োগের পরপরই কুকুরকে গাড়িতে তোলা হয়। তাই অনেকগুলো কুকুরকে ভ্যাকসিন দিয়ে একসঙ্গে করে এক জায়গায় নর্দমার পাশে ফেলে রাখার কোনো অবকাশ থাকে না।
এতে আরও বলা হয়, ডিএসসিসি কোনো বেওয়ারিশ কুকুর হত্যা করেনি বা করছেও না। তাই মিথ্যা, বানোয়াট ও বিকৃত ছবির পসরা সাজিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অপব্যবহার করে কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী বা কোনো সংঘবদ্ধ চক্র ডিএসসিসির ভাবমূর্তি প্রশ্নবিদ্ধ করার অপতৎপরতায় লিপ্ত। এই ধরনের অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হতে ঢাকাবাসী ও দেশের আপামর জনসাধারণকে অনুরোধ করা হলো। এই অপতৎপরতা অব্যাহত রাখা হলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮’ এর মাধ্যমে অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বাধ্য হবে।