চট্টগ্রাম

কুতুবদিয়া সমুদ্র সৈকতে পর্যটনের নতুন দিগন্তের দোয়ার

  প্রতিনিধি ৩০ ডিসেম্বর ২০২০ , ৩:০৩:২৮ প্রিন্ট সংস্করণ

বি এম হাবিব উল্লাহ, জেলা প্রতিনিধি, কক্সবাজার:

কক্সবাজারের কুতুবদিয়া সমুদ্র সৈকত সম্ভাবনাময় পর্যটন স্পট। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পর্যটক হিসেবে অনেকে আসছেন এখানে। উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা, আবাসিক হোটেল ও খাবারের সুব্যবস্থা রয়েছে এ দ্বীপে।

রয়েছে সাগরের বিস্তীর্ণ জলরাশি দীর্ঘ সমুদ্র সৈকত। সাগরের তীরে সারি ঝাউ গাছ গুলো হাওয়ায় দোলা দেয়। সবুজ ঝাউবনে অতিথি পাখিসহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখিদের মিলনমেলা সত্যিই লোভনীয় হয়ে উঠে ভ্রমন পিয়াসু পর্যটকদের কাছে।

প্রকৃতির অপার সৌন্দর্যের লীলাভুমি কুতুবদিয়া সমুদ্র সৈকত সত্যিই অপূর্ব। দেশব্যাপি এখনও খুব একটা পরিচিত নয় এ দীপাঞ্চল। কুতুবদিয়া উপজেলায় ২২ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে গড়ে ওঠা বেশ কয়েকটি নতুন পর্যটন স্পট রয়েছে।

পূর্বে এখানে মানুষের যাতায়াত কম হলেও বর্তমানে দ্বীপের পর্যটন স্পটগুলো দৃষ্টি আকর্ষণ বাড়িয়ে দিয়েছে পর্যটকদের। বঙ্গোপসাগরের বিস্তীর্ণ বেলাভূমির সাথে বায়ু বিদ্যুৎ, লবণ উৎপাদন, জেলেদের মাছ ধরার দৃশ্য দেখতে এখন দূর দূরান্ত থেকেও মানুষ ছুটে যাচ্ছেন নতুন এই দ্বীপে।

পর্যটকরা বলছেন, কর্তৃপক্ষ নজর দিলে দ্রুতই জনপ্রিয় হয়ে উঠবে কুতুবদিয়ার পর্যটন স্পটসমূহ। স্থানীয় প্রশাসন বলছে, নতুন এই পর্যটন স্পটে পর্যটক আকর্ষণ বাড়াতে কাজ চলছে।

শুধু সমুদ্র সৈকতে নয় বায়ু বিদ্যুৎ এলাকা, সিটিজেন পার্ক, শহীদ মিনার, কুতুব শরীফ দরবার, কুতুব আউলিয়ার মাজার, কালারমার মসজিদ, প্রাকৃতিক গ্যাস, বিশ্বখ্যাত বাতিঘর, লবণ উৎপাদনসহ আরও বেশ কয়েকটি পর্যটন কেন্দ্র এখন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ সমুদ্র সৈকত ও বায়ু বিদ্যুৎ প্রকল্পের নয়নাভিরাম ছবি ছড়িয়ে পড়ার পর দর্শনার্থীরাও এ দ্বীপের ব্যাপারে আগ্রহী হয়ে উঠছেন।

আরও খবর

Sponsered content