প্রতিনিধি ১৪ নভেম্বর ২০২০ , ৪:০২:৫২ প্রিন্ট সংস্করণ
আরিফুজ্জামান, কুষ্টিয়া প্রতিনিধি ঃ পুলিশ এখন আর শুধু পুলিশ নয়।অনেকাংশে তাদেরকে আধুনিক পুলিশও বলা হয়ে থাকে।কেউবা বলে মানবিক পুলিশ।নানা প্রতিকূলতার মধ্যদিয়ে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সেবার মান বাড়িয়ে খুড়িয়ে খুড়িয়ে এই সুনাম অর্জন করেছে পুলিশ।দেশ ও জনগণের চাওয়া, পাওয়া, প্রত্যাশাসহ সকল প্রয়োজনে সেবা নিশ্চিত করতে আধুনিক পুলিশ ব্যবহার করছে তথ্য ও প্রযুক্তি।সেই তথ্য ও প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে মাত্র ৬ ঘণ্টার মধ্যে অজ্ঞাত মহিলা লাশের পরিচয় উদঘাটন করেছে কুষ্টিয়ার কুমারখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মজিবুর রহমান।ওই মহিলার নাম রাধা রাণী (৪০)। সে নীলফামারী জেলার সদর উপজেলার সন্তোষ চন্দ্র রায়ের স্ত্রী এবং ঢাকার নারায়ণগঞ্জ গার্মেন্টস ফ্যাক্টরীর নারী শ্রমিক।
ঘটনাসুত্রে জানা গেছে, গত ৫ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) সকাল পৌনে ১০টার দিকে কুষ্টিয়া টু রাজবাড়ী সডকস্থ সদকী ইউনিয়নের করাদকান্দি নামক বিলের পাশে একটি মরদেহ দেখে পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয়রা।খবর পেয়ে ওসি মজিবুর রহমান সংঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্স নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে লাশটি উদ্ধার করে।কিন্তু প্রাথমিকভাবে লাশের নাম পরিচয় জানা না যাওয়াই অজ্ঞাত হিসেবে সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তত করে ময়না তদন্তের জন্য কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এরপর লাশের পরিচয় ও ঘটনার আসল রহস্য উদঘাটনের জন্য মরিয়া হয়ে পড়েন ওসি মজিবুর রহমান।একপর্যায়ে তথ্য ও প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে লাশ উদ্ধারের মাত্র ৬ ঘণ্টার মধ্যে অজ্ঞাত মহিলা লাশের নাম পরিচয় উদঘাটন করে নিহতের পরিবারকে খবর দেন তিনি। পরে নিহতের পরিবার লাশ দেখে সনাক্ত করেন এবং পরেরদিন ৬ নভেম্বর নিহতের বড় ভাই সুভাষ অজ্ঞাতনামা আসামীদের নামে কুমারখালী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ১১। লাশ নিহতের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এবিষয়ে কুমারখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মজিবুর রহমান বলেন, বিলের পাশে একটি লাশ পরে আছে এমন খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে লাশটি উদ্ধার করা হয়।প্রাথমিকভাবে লাশের পরিচয় জানা যায়নি।পরে সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করে লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয় এবং অজ্ঞাত লাশের পরিচয় জানতে চালানো হয় সরাশি অভিযান।অবশেষে তথ্য ও প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে লাশ উদ্ধারের মাত্র ৬ ঘণ্টার মধ্যে নাম পরিচয় জানতে সক্ষম হয়।পরে নিহতে পরিবারকে খবর দিলে তারা লাশ সনাক্ত করেন এবং পরের দিন ৬ নভেম্বর নিহতের বড় ভাই সুভাষ একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।তিনি আরো বলেন, হত্যার কারণ জানতে ও অজ্ঞাতনামা আসামীদের ধরতে পুলিশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে।