আরিফুজ্জামান, কুষ্টিয়া:
“শেখ হাসিনার বাংলাদেশ, ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ” এই শ্লোগানে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির আওতায় ১০টাকা কেজি চাল বিতরনে কর্মসূচি গ্রহন করে সরকার। আর এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে ইউনিয়ন পরিষদ। প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদের আওতাধীন হতদরিদ্রের কার্ডের মাধ্যমে এই চাল বিতরন করা হয়। বছরে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির আওতায় সরকার একেকটি কার্ডে ৩০কেজি করে মোট ৫বার ১০ টাকা কেজি মূল্যে চাল বিতরন করা হয়। কিন্তু কুষ্টিয়ার কয়া ইউনিয়ন ব্যাতিক্রম। গরীবের বদলে ধনীরা পাচ্ছে ১০টাকা কেজির চাল। দুইতলা বাড়ির মালিক, সিঙ্গাপুর প্রবাসীর স্ত্রী সহ সাবলম্বীদের নামে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির ১০টাকা কেজি চালের কার্ড থাকলেও এ ইউনিয়নে হতদরিদ্ররা হচ্ছে বঞ্চিত। এছাড়াও একাধিক হতদরিদ্রদের খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির ১০টাকা কেজি চালের কার্ড বাতিলেরও অভিযোগ রয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কুষ্টিয়া কয়া ইউনিয়নে সাবেক এলজিইডির কর্মকর্তা রিয়াজ উদ্দিনের নামে রয়েছে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির ১০টাকা কেজি চালের কার্ড। এছাড়াও একই গ্রামের সিঙ্গাপুর প্রবাসীর স্ত্রী শিরিনা খাতুনের নামেও রয়েছে ১০টাকা কেজি চালের কার্ড। এই ইউনিয়নে শুধু রিয়াজ উদ্দিন বা শিরিনা খাতুন নয়, এমন একাধিক স্বাবলম্বীর নামে রয়েছে সরকারের ১০টাকা কেজি চালের কার্ড। এদিকে কয়া ইউনিয়নের হতদরিদ্র খোদেজা ও স্বামী পরিত্যাক্তা রাজিয়া ১০টাকা কেজি চালের কার্ড পেলেও কিছুদিন পরে কারন ছাড়াই করা হয়েছে বাতিল। এছাড়াও হতদরিদ্র অনেকেরই ভাগ্যে জোটেনি সরকারের খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির ১০টাকা কেজি চালের কার্ড।
হতদরিদ্র খোদেজা ও স্বামী পরিত্যাক্তা রাজিয়ার অভিযোগ, কার্ড বাতিলের কারণ জানতে বারবার কয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক জিয়াউল ইসলাম স্বপনের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও মেলেনি দেখা। এমনকি ফোনেও তাকে পাওয়া যায় না।
এ বিষয়ে কয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউল ইসলাম স্বপন বলেন, খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির ১০টাকা কেজি চালের কার্ডের অনিয়মের বিষয়টি আমার জানা নেই। মেম্বাররা এ তালিকা করে। যদি কোনো অভিযোগ থাকে আমি বিষয়টি দেখবো। কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজীবুল ইসলাম খান জানায়, এ ধরনের অভিযোগ থাকলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।