ময়মনসিংহ

কৃষি খামার গড়ে তোলে সফলতার মুখ দেখছে কেন্দুয়ার সুমন

  প্রতিনিধি ১২ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ৭:০১:৫৮ প্রিন্ট সংস্করণ

মজিবুর রহমান, কেন্দুয়া (নেত্রকোণা) : নেত্রকোণার কেন্দুয়ায় বাড়ির আশ-পাশে কৃষি খামার গড়ে তুলে সফলতার মুখ দেখছেন উচ্চ শিক্ষিত বেকার যুবক আবু সাঈদ সুমন। সুমন উপজেলার বলাইশিমূল ইউপি’র ভরাপাড়া গ্রামের ইদ্রিস আলী তালুকদারের ছেলে। আবু সাঈদ সুমন কেন্দুয়া উপজেলা সদরের আদর্শ শিশু বিতান থেকে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করে জয়হরি স্প্রাই সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হন। ২০০৪ সালে সাফল্যের সাথে এস এস সি পাশ করে ভর্তি হন ময়মনসিংহের নাসিরাবাদ কলেজে। বিজ্ঞান বিভাগ থেকে সাফল্যের সাথে উর্ত্তীর্ণ হয়ে আনন্দ মোহন বিশ্ববিদ্যালয়ে উদ্ভিদবিদ্যা বিষয়ে ভর্তি হয়ে ২০১১ সালে উত্তীর্ণ হন। ওই বিদ্যাপিঠ থেকেই ২০১২ সালে উচ্চতর ডিগ্রী মাস্টাস অর্জন করেন। বিভিন্ন দপ্তরে চাকুরী পেচনে ঘুরে হতাশ হয়ে পণ করেন নিজের পায়ে দাঁড়ানোর। বাবার সম্পদকে কাজে লাগিয়ে বেকারত্বের অভিসাপ থেকে মুক্তি নিয়ে বড় হওয়ার স্বপ্ন বুনেন সুমন। বন্ধু কৃষি অফিসারের পরামর্শ মনোবল আরো বাড়িয়ে। ২০১৮ সালে ক্ষুদ্র পরিসরে মাছ চাষ শুরু করেন তিনি। বর্তমানে ৫টি পুকুরে (২৬০ শতক ভূমি) নানা প্রজাতির মাছ চাষ করছেন। গত বছর ২০ শতক জমিতে স্কোয়াশ জাতীয় সবজি ও ৫০শতক জমিতে মিষ্টি লাউ করে লাভবান হয়েছেন। গড়ে তুলতে শুরু করেছেন ছাগলের খামার। তার এই প্রজেক্টে ১২টি ছাগল রয়েছে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি ছাগল বাচ্চা দিয়েছে। ছাগল পালনে সফলতা দেখছেন তাই এর পরিধি বৃদ্ধি করার কথা জানিয়েছেন তিনি। তার কেচোঁ সার/ ভার্মি কম্পোস্ট উৎপাদনের খামারও রয়েছে। এ সার উৎপাদনেও সফল তাই এর ব্যাপক পরিধি বাড়ানোর চিন্তা করছেন তিনি। ৩০ শতক জমিতে উন্নতমানের লেবুর বাগান করেছেন এবং আরো কিছু জমি প্রস্তুত করছেন তিনি। এছাড়া অন্যান্য সবজিও চাষ করেন তিনি। বাড়ীর উঠানে নাসারীতে উন্নতমানে চারা উৎপাদন করে লাভবান হচ্ছেন সুমন। এবছর বর্ষাকালীন টমেটো ও তরমুজ চাষ করছেন তিনি। নানান পারিপার্শি¦কতার কারণে তরমুজের ভাল ফলন হলেও খুব বেশি লাভবান হয়নি। তবে সুসাধু তরমুজ ফলিয়ে তার আগ্রহ বেড়েছে। আগামী বছর এক একর জমিতে তরমুজ চাষ করবে বলে প্রতিবেদকে জানান। টমেটোও ভাল ফলন হয়েছে। বৈরী আবহাওয়া কিছুটা ক্ষতি করেছে। টমেটো বাজারে বিক্রি করছেন। এর চাহিদাও ভাল বলে জানান তিনি। যেহারে ফল ধরেছিল বৈরী আবহাওয়ার প্রভাব না পড়লে আশা করেছিলেন ভালই লাভবান হবেন। আবু সাঈদ সুমন জানান,ছোট বেলা থেকেই স্বাধীনভাবে চলার চেষ্টা করতাম। চাকুরী তো কোন স্বাধীন পেশা নয়। তাই চাকুরীর পিচনে না ঘুরে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর পণ করি এবং শুরু করেছি আর সফলতা দেখে প্রতিটি প্রকল্প বৃদ্ধি করার চেষ্টা করছি। ইনশাল্লাহ! আমার ইচ্ছাপূরণ করতে সক্ষম হব। সফল হব। তিনি শিক্ষিত বেকার যুবকদের প্রতি তার আহবান বসে না থেকে নিজের পায়ে দাড়ানোর একটা কাজ শুরু করুন। তার এই কাজে উদ্বুদ্ধ করেছেন কৃষিবৃদ আব্দুল ওয়াদুদ তার প্রতি তিনি কৃজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

আরও খবর

Sponsered content