ময়মনসিংহ

কেন্দুয়ায় আশ্রিতদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ বাড়িওয়ালা

  প্রতিনিধি ১৩ নভেম্বর ২০২২ , ৬:৫০:৫৪ প্রিন্ট সংস্করণ

কেন্দুয়া (নেত্রকোণা) প্রতিনিধি :

নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় জামিনে বেরিয়ে এসে বাদী বাড়িওয়ালার পরিবারের ওপর ফের মারপিট ও হামলা চালিয়েছে প্রতিপক্ষ আশ্রিতরা।

এঘটনাটি শুক্রবার (১১ নভেম্বর) উপজেলার সান্দিকোনা ইউনিয়নের পাইমাস্কা গ্রামে জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে ঘটেছে।

এসময় গুরুতর আহত হয়েছেন বাদী গৌরাঙ্গের ভাতিজা ও মামলার সাক্ষী অসীম পাল,তাঁর মা বিনা রাণী পাল এবং দুই বোন আলপনা পাল ও চন্দনা পাল আহত হন।

তাঁদের মধ্যে গুরুতর আহত অসীম পাল,তাঁর মা বিনা রাণী পাল ও বোন আলপনা পালকে ময়মমনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

পাশের আটিগ্রামের শহীদ মিয়ার নেতৃত্বে বাদীর বাড়িতে আশ্রিত মিনটু পাল ও মন্টু পালসহ তাদের লোকজন এ ন্যাক্কারজন ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ ওঠেছে।

সুত্র জানায়,পাইমাস্কা গ্রামের গৌরাঙ্গ পালের বাড়িতে আশ্রিত হিসেবে থাকেন মিন্টু পাল ও মন্টু পাল নামে দুই ভাই। তাদের মা ধর্মত্যাগ করে আটিগ্রামের শহীদ মিয়ার সাথে বিয়ে হয়েছে। একটি কুচক্রী মহলের ছত্রছায়ায় মিন্টু ও মন্টু পালের বাধায় গৌরাঙ্গ চন্দ্র পালের প্রৈত্রিক ও ক্রয়কৃত চার কাঠা (৪০ শতক) কৃষি জমি প্রায় ৬/৭ মাস ধরে অনাবাদী রয়েছে। যেকারণে বোরো ও আমন ধান আবাদ করতে পারেনি। জমিটিতে চাষাবাদের জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরেও কোন কাজ না হওয়ায় তাঁরা নিরুপায় হয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কার্যালয়ে ছুটে গেলে টনক নড়ে থানা-পুলিশের।
এরই মাঝে গত ৮ নভেম্বর গৌরাঙ্গ চন্দ্র পালের বাড়িতে হামলা চালিয়ে নারীপুরুষ কয়েকজনকে আহত করে মিন্টু গংরা। এঘটনায় ওই দিনই থানায় মারপিট, চুরি ও শ্লীলতাহানিসহ নানা অপরাধে অভিযোগ এনে ৭জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন গৌরাঙ্গ চন্দ্র পাল। ওই মামলায় থেকে জামিনে বেরিয়ে এসে শুক্রবার (১১ নভেম্বর) সকালে ফের দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বাদীর বাড়িতে হামলা চালায়। এসময় বাদী গৌরাঙ্গের ভাতিজা ও মামলার সাক্ষী অসীম পাল,তাঁর মা বিনা রাণী পাল এবং দুই বোন আলপনা পাল ও চন্দনা পাল আহত হন। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যান। এঘটনার পর থেকে মিন্টু গংরা পলাতক রয়েছে। গৌরাঙ্গ পাল নিরীহ হওয়ায় তাঁর পরিবারের ওপর মিন্টু গংরা
নানাভাবে অত্যাচার, হয়রানি ও মারপিট করেছে বলে স্থানীয় জানায়। শনিবার (১২ নভেম্বর) দুপুরে সরজমিনে এলাকায় গেলে ভুক্তভোগী পরিবারের কয়েকজন নারী সদস্য জানান, সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে আটিগ্রামের শহীদ মিয়ার নেতৃত্বে গৌরাঙ্গ পালের বাড়িতে আশ্রিত দুরসম্পকের আত্মীয় মিন্টু পাল ও পল্টু পালসহ তাদের সহযোগীরা তাদের পৈত্রিক ও ক্রয় করা জমিতে কোনো চাষাবাদ করতে দিচ্ছে না।
বাঁধার ফলে ৬/৭ মাস ধরে জমিটি পতিত থাকায় বোরো ও আমন ধান আবাদ করতে পারছেন না।

গৌরাঙ্গ পালের ভাতিজি চন্দনা পাল জানান,আমাদেরকে নিরীহ পেয়ে আটিগ্রামের শহীদ মিয়া ও তাঁর দুই ছেলে এবং আমাদের বাড়িতে আশ্রিত দুরসম্পর্কের আত্মীয় মিন্টু পাল ও পল্টু পালসহ তাদের লোকজনের অত্যাচারে আমরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছি। আমাদের জমিতে যেতে বাধা দেওয়াসহ বাড়িতে এসেও মারপিট করেছে। আমাদের বাড়িতে থেকে আমাদেরকে মারপিট করে তাহলে আমরা কতটুকু সুখে আছি আপনেরাই বলুন? সমাজ ও রাষ্ট্রের কাছে তাঁদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।”

এ ব্যাপারে কেন্দুয়া থানার ওসি আলী হোসেন গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়ভাবে কয়েক দফা মিমাংসার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু মিন্টু গংরা কারো ডাকে সাড়া দেয়নি। আহতেরা চিকিৎসাধীন থাকায় এখনও কোনো মামলাও হয়নি

আরও খবর

Sponsered content