প্রতিনিধি ৪ আগস্ট ২০২০ , ৮:১৭:৫২ প্রিন্ট সংস্করণ
কেন্দুয়া (নেত্রকোণা) প্রতিনিধি : নেত্রকোণার কেন্দুয়ায় একই দিনে পৃথক স্থানে দু’টি ধর্ষনের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। অভিযুক্ত দুই ধর্ষককে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোর্পদ করেছে কেন্দুয়া থানা পুলিশ। ভিকটিমদের ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাঠানো হয়েছে। সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার মাসকা ইউপি’র দুলাইন গ্রামের বকুল মিয়ার ছেলে ও কেন্দুয়া বাজারের ‘মায়ের দোয়া টেলিকম’এর প্রোপাইটার সিরাজুল ইসলাম (৩০) সঙ্গে খুলনার খান জাহান রোড এলাকার বাদশা মিয়ার স্বামী পরিত্যক্তা কন্যার ২০১৭ সালে ফেইসবুকে পরিচয় ঘটে। পরে তাদের মাঝে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। বিয়ের প্রলোভনে ওই নারীকে নিয়ে কক্সবাজার, ঢাকায়, ময়মনসিংহসহ বিভিন্ন এলাকায় হোটেলে ও বাসাবাড়িতে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে রাত্রী যাপন করেছে। সর্বশেষ সোমবার দুপুরে ওই নারীকে নিয়ে কেন্দুয়া বাজারের এক নারীনেত্রীর বাসায় ওঠে। এসময় বিয়ের জন্য চাপ সৃষ্টি করলে ওই নারীকে বেধরক প্রহার করতে থাকলে ডাক-চিৎকার শুনে আশে-পাশের লোকজন থানায় ফোন করলে পুলিশ এসে ভিকটিমসহ সিরাজুল ইসলামকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পরে রাতে ওই নারীর অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সং/০৩)এর ৯(১)/৩০ তৎসহ ৩২৩/৫০৬ পেনাল কোড মামলা রুজু করা হয়। ওই মামলায় সিরাজুল ইসলাম ও নারীনেত্রীকে আসামী করা হয়েছে। অপর দিকে উপজেলার দলপা ইউপি’র রামজীবনপুর গ্রামের শহীদ খানের ছেলে হাইতুল এলাইজ মেহেদী হাসান জয় ওরফে এলাইজ ছোটন মিয়ার (২৩) সঙ্গে একই ইউপির বেখৈরহাটি গ্রামের আবু বক্করের স্বামী পরিত্যক্তা কন্যার পরিচয় থেকে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে তারা বিভিন্ন স্থানে রাত্রীযাপনসহ শারিরীক সম্পর্ক গড়ে তুলে। সোমবার প্রেমিকার সাথে দেখা করতে ধর্ষিতা বাড়ীতে বেড়াতে আসে ধর্ষক এলাইজ ছোটন মিয়া। ফুসলিয়ে ধর্ষিতাকে নিয়ে যায় পাশ্ববর্তী ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার ভাটিরকোনা গ্রামের বন্ধু শাকিলের বাড়িতে। ওইখানে ওই নারীকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও পরে মারধোর করা হয়। এঘটনায় মঙ্গলবার ধর্ষিতা বাদী হয়ে কেন্দুয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন মামলা রুজু করেছেন। মামলায় প্রেমিক হাইতুল এলাইজ মেহেদী হাসান জয় ওরফে এলাইজ ছোটন মিয়া (২৩) ও তার বন্ধু শাকিলকে আসামী করা হয়েছে। কেন্দুয়া থানা ওসি রাশেদুজ্জামান জানান, উভয় ঘটনার ভিকটিমকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্যে নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া দুই ধর্ষকে আদালতে সোর্পদ করা হয়েছে। অন্য আসামীদের ধরতে এলাকায় অভিযান চালানো হচ্ছে।