প্রতিনিধি ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ৩:৫৫:১৪ প্রিন্ট সংস্করণ
খাদ্যে উদ্বৃত্ত জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলা। চলতি ২০২০-২১ অর্থ বছরে যথা সময়ে শুরু হয় বোরো ধান-চাল সংগ্রহ। লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ২ হাজার ৫৪ মে. টন ধান, যার সরকারী মূল্য প্রতি কেজি ২৬ টাকা ও ৩ হাজার ৬শ ৩১ মে. টন চাল, যার সরকারী মূল্য প্রতি কেজি ৩৬ টাকা। ৩০ আগষ্ট পর্যন্ত নির্ধারিত সময়ে নির্বাচিত কৃষক ও মিলার কেউই ধান-চাল দিতে পারে নাই। লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বাড়ানো হয় সময়সীমা ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। তাতেও পূরণ হয়নি লক্ষ্যমাত্রা। সর্বসাকুল্যে সংগ্রহ হয়েছে চাল ১ হাজার ৪শ ৫২ মে. টন। আর ধান হয়েছে মাত্র ৩২ মে. টন। আদর্শ কৃষক মাজাহারুল ইসলাম জানান, বোরো ধান কাটা মৌসুমে স্থানীয় বাজার দর ভালো থাকায় কৃষকরা সরকারী খাদ্য গুদামের নিয়মনীতি মেনে ধান দিতে নারাজ।
ক্ষেতলাল চালকল মালিক সমিতির সভাপতি খলিলুর রহমান বলেন, আমিসহ অল্প কয়েক জন মিলার লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করেছি। সরকরি গুদামে এবার চাল দিতে প্রতি কেজিতে প্রায় ৭-৮ টাকা লোকসান হচ্ছে। লোকসানের ভয়ে অধিকাংশ মিলাররা সরকারকে চাল দিতে অনীহা প্রকাশ করে।
উপজেলা কৃষি অফিসার জাহেদুর রহমান বলেন, একদিকে মৌসুমে বাজার দর ভাল থাকায় কৃষকরা বাজারেই ধান বিক্রি করেছেন। অন্য দিকে খাদ্য গুদামে ধান দিতে গেলে ধানের যে শুস্কতা বা আর্দ্রতা বা গুনগত মান নিশ্চিত করতে হয় তা নির্বাচিত সকল কৃষকের পক্ষে সম্ভব নয়। এছাড়াও এ উপজেলায় আতব ধান ও চিকন ধান বেশি আবাদ হয় যার বাজার মূল্য অনেক বেশি ছিল।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক নাজমুল হক বলেন, বাজারে ধানের দাম ভাল থাকায় কৃষকরা সরকারি গুদামে ধান দেয় নাই। আর যে সব মিলাররা বরাদ্দ পেয়েও গুদামে চাল দেয় নাই তাদের বিষয়ে তালিকা করে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার জন্য।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার এএফএম আবু সুফিয়ান বলেন, লক্ষ্যমাত্রা অর্জন না হলেও কৃষকরা লাভবান হয়েছে তাতেই সন্তুষ্ট। তবে মিলারদের সরকারি গুদামে চাল দেয়া বিষয় ছিল নৈতিক ।