দেশজুড়ে

গণপিটুনিতে রেনু হত্যা : জামিনে ৫ আসামি

  প্রতিনিধি ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ৪:২৩:১৪ প্রিন্ট সংস্করণ

ভোরের দর্পণ অনলাইন:

রাজধানীর উত্তর বাড্ডায় ছেলেধরা সন্দেহে পিটিয়ে তাসলিমা বেগম রেনুকে হত্যার ঘটনায় হাইকোর্ট থেকে বছরের বিভিন্ন সময়ে জামিন নিয়েছেন চার্জশিটভুক্ত পাঁচ আসামি।

জামিন পাওয়া আসামিরা হলেন, মোহাম্মদ রাজু, রিয়া বেগম ময়না, বাচ্চু মিয়া, মোহাম্মদ শাহীন ও মুরাদ মিয়া।

এর মধ্যে সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিমের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ থেকে আসামি মোহাম্মদ রাজু জামিন পেয়েছেন।

মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সংশ্লিষ্ট কোর্টের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ ও সহকারি অ্যাটর্নি জেনারেল এম এম জি সরোয়ার পায়েল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তারা বলেন, ইতিমধ্যেই আসামি মোহাম্মদ রাজুর জামিন স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করা হয়েছে।

গত ১০ সেপ্টেম্বর রাজধানীর উত্তর বাড্ডায় ছেলেধরা সন্দেহে পিটিয়ে তাসলিমা বেগম রেনুকে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় ১৫ জনকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দেয় গোয়েন্দা পুলিশ।

ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের (সিএমএম) আদালতে এ চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের ইন্সপেক্টর আবদুল হক।

চার্জশিটভুক্ত ১৫ আসামি হলেন- মো. ইব্রাহিম ওরফে হৃদয় হোসেন মোল্লা (২০), রিয়া বেগম ওরফে ময়না বেগম (২৯), মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ ওরফে আজাদ মণ্ডল (৫০), মোহাম্মদ কামাল হোসেন (৪০), মোহাম্মদ শাহিন (৩২), মো. বাচ্চু মিয়া (৩৬), মো. বাপ্পী ওরফে শহিদুল ইসলাম (২১), মো. মুরাদ মিয়া (২৬), মো. সোহেল রানা (৩০), আসাদুল ইসলাম (২২), মো. বিল্লাল মোল্লা (৩২), মো. রাজু ওরফে রুম্মান হোসেন (২৩), মো. মহিউদ্দিন (১৮), মো. জাফর হোসেন পাটোয়ারী (১৭), ওয়াসিম ওরফে মো. অসীম আহম্মদ (১৪)। এর মধ্যে আসামি মো. মহিউদ্দিন পলাতক রয়েছেন। বাকি ১৪ জন কারাগারে।

গত বছরের ২০ জুলাই সকালে বাড্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আসেন তাসলিমা বেগম রেনু। তার দুই সন্তানের ভর্তির বিষয়ে খোঁজ নিতে গেলে স্কুলের গেটে কয়েকজন নারী তাসলিমার নাম-পরিচয় জানতে চান। পরে লোকজন তাসলিমাকে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কক্ষে নেন। কিছুক্ষণের মধ্যে বাইরে কয়েকশ লোক একত্র হয়ে তাসলিমাকে প্রধান শিক্ষকের কক্ষ থেকে বের করে নিয়ে যায়। স্কুলের ফাঁকা জায়গায় এলোপাতাড়ি মারপিট করে গুরুতর জখম করে। পরে উদ্ধার করে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। এ ঘটনায় তাসলিমার বোনের ছেলে সৈয়দ নাসিরউদ্দিন বাদী হয়ে বাড্ডা থানায় অজ্ঞাতনামা চারশ-পাঁচশ মানুষকে আসামি করে মামলা করেন।

আরও খবর

Sponsered content