প্রতিনিধি ৮ জুলাই ২০২০ , ৮:১২:৪০ প্রিন্ট সংস্করণ
অনলাইন ডেস্ক: গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ ও পলাশবাড়ি উপজেলায় করতোয়া নদীর পানি আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় এসব এলাকার মানুষের মধ্যে বন্যা আতংক বিরাজ করছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করতোয়া নদীর পানি ৯৩ সেন্টিমিটার বৃদ্ধির ফলে বাঙ্গালী, কাটাখালি ও আলাই নদীতেও বাড়তে শুরু করেছে পানি। ফলে স্রোতের তীব্রতার সঙ্গে দেখা দিয়েছে নদীভাঙন।
অপরদিকে ব্রহ্মপুত্র ও ঘাঘট নদীর পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ফুলছড়ি, সাঘাটা ও সদর উপজেলার নদী তীরবর্তী বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে। এক সপ্তাহে এ জেলার ৪ উপজেলায় শতাধিক বসতবাড়ি ও কয়েক একর জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে।
জানা গেছে, ব্রহ্মপুত্র ও ঘাঘট নদীর পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি, সাঘাটা ও সদর উপজেলার নদী তীরবর্তী বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে। এ চার উপজেলার ৩০টির বেশি পয়েন্টে গত দুইদিনে প্রায় দেড় শতাধিক ঘর-বাড়ি ও প্রচুর আবাদি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। এছাড়াও করতোয়া নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে পানি বাড়তে শুরু করেছে বাঙ্গালী, কাটাখালি ও আলাই নদীতে। গত ৩ দিন বাঙ্গালী নদীর ভয়াবহ ভাঙনে সাঘাটা উপজেলার কচুয়া ইউনিয়নের রামনগর গ্রামের কয়েক একর ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে।
ভাঙনের শিকার রামনগর গ্রামের আবুল প্রধান জানান, গত ৩ বছরে এই গ্রামের ৫ শতাধিক পরিবার নদী ভাঙনের শিকার হয়েছে। কেউ কখনও খোঁজ রাখেনি। নদী ভাঙনের শিকার রোজিনা বেগম জানান, কয়েকবার বাঙ্গলী নদীর ভাঙনের শিকার হয়ে বাড়ি অন্য স্থানে সরিয়ে নিয়ে যেতে হয়েছে।