প্রতিনিধি ২৮ অক্টোবর ২০২০ , ৬:৫৪:৫২ প্রিন্ট সংস্করণ
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি :
ফ্রান্সে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় বিশ্বনবী (সাঃ) এর ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশের প্রতিবাদে গোপালগঞ্জে কওমি মাদ্রাসা বোর্ডের কয়েক হাজার শিক্ষার্থী বিক্ষোভ ও মানববন্ধনে অংশ নেয়। বুধবার সকাল ১১ টায় গোপালগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে মানবন্ধনে নেতৃত্ব দেন ছদর সাহেব রহঃ এর পৌত্র ও গওহরডাঙ্গা মাদ্রাসার মুহাদ্দিস মুফতি উসামা আমীন।
বক্তব্য রাখেন শিক্ষা বোর্ডের মহাসচিব মাওলানা শাসছুল হক সহ শীর্ষ নেতৃবৃন্দ। এতে মাদ্রাসার শিক্ষক, শিক্ষার্থী, মুয়াজ্জিন, সাধারণ তাওহিদি জনতা অংশগ্রহণ করেন। পরে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাকরন এর কুশপুত্তলিকা দাহ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে ফ্রান্সের তৈরি সকল পণ্য বর্জনের ঘোষণা দেওয়া হয়। মানববন্ধনে মুফতি উসামা আমীন বলেন, “বিশ্বনবী (স.) বিশ্ববাসীর জন্য রহমত স্বরূপ আগমন করেছিলেন। তিনি বিশ্বের সব ধরনের অশান্তি দূর করে শান্তি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বিশ্ব মুসলিমের জীবনের থেকেও বেশি প্রিয়। রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় ফ্রান্স হুজুর (সাঃ) এর ব্যঙ্গ চিত্র প্রদর্শন করে যে ধৃষ্টতা দেখিয়েছে তা বিশ্বের দুইশত কোটি ধর্মপ্রাণ মুসলানদের হৃদয়ে চরম আঘাত হেনেছে এবং ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমান-এর প্রতিবাদে রাজপথে নেমে এসেছে। এ ঘটনার জন্য ফ্রান্সকে অবশ্যই বিশ্ব মুসলম উম্মাহ’র কাছে ক্ষমা চাইতে হবে বলে দাবি করেন তিনি। বাক-স্বাধীনতার নামে ফ্রান্স যে নাক্কারজনক কাজ করেছে তা কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। বিশ্বের দ্বিতীয় মুসলিম অধ্যুষিত দেশ হিসেবে বাংলাদেশ সরকারকে ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতকে জরুরীভাবে তলব করে জঘন্য ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে হবে। প্রয়োজনে ফ্রান্সের সাথে কুটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার দাবি জানান বক্তারা। সংগঠনের মহাসচিব মাওলানা শামছুল হক বলেন, সালাম রাসূল (সাঃ) এর একটি শ্বাসত সুন্নাত। সালামকে জঙ্গিবাদের উপসর্গ বলে ঢাবি’র ক্রিমিনোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান ড. জিয়া রহমান যে মূর্খতা প্রকাশ করেছেন তাতে তিনি কোনভাবেই আর ঢাবি’র শিক্ষক থাকার যোগ্য নন। অনতিবিলম্বে তাকে ঢাবি থেকে বহিষ্কারের দাবি জানানো হয়।
মুফতি মোহাম্মদ তাসনীন ও মুফতি মাকসূদুল হকের পরিচালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, গওহরডাঙ্গা মাদ্রাসার মাওলানা ফরিদ আহমাদ, বেফাকের নায়েবে সদর মাওলানা নুরুল হক, কোর্ট মসজিদ মাদ্রাসার মুফতি হাফিজুর রহমান, মাওলানা মাহমুদুল হাসান, জেলা ওলামা পরিষদের সদস্য সচিব মুফতি মঈনুদ্দিন, তারাইল ফুকরা মাদ্রাসার মাওলানা শিহাব উদ্দিন, মুসলিম এতিমখানা মাদ্রাসার মাওলানা হায়াত আলী, মাওলানা নাসির উদ্দিন, মুফতি ফকরুল ইসলাম, তানজিমুল মুদাররিসিন বাংলাদেশের মাওলানা আতাউর রহমান, মাওলনা জামাল উদ্দিন, মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক, মাওলনা অহিদুজ্জামান, মাওলানা শফিকুল ইসলাম গওহারী, খাদেমুল ইসলাম ছাত্র শাখার সভাপতি গোলাম রাব্বানী সহ আরো অনেকে।