প্রতিনিধি ২৩ আগস্ট ২০২০ , ৭:১৭:৫২ প্রিন্ট সংস্করণ
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : গোপালগঞ্জে সাংবাদিক পুত্রকে মারপিটের অভিযোগ উঠেছে মিয়াপাড়ার রাসেল ও রনির বিরুদ্ধে। জেলা শহরের মিয়াপাড়া এলাকার মৃত রহমত জান সরদারের ছেলে রাসেল সরদার ও রনি ওরফে মুতকুরা রনিসহ অন্যান্যরা সর্বত্র ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। মাদক বিক্রয়, সন্ত্রাসী কর্মকান্ড, চাঁদাবাজিসহ হেন অপকর্ম নাই যা রাসেল-রনি সন্ত্রাসী চক্র করে না। এসব কর্মকান্ড করে বারবার পুলিশের হাতে ধরা পড়লেও তারা দমে নাই। উপরন্তু রাসেল-রনি গ্যাং তাদের অপতৎরতা বিস্তৃত করেছে।
এলাকার ছোট ছেলেদের ভুলিয়ে-ভালিয়ে কাছে ডেকে নিয়ে আটকে রেখে মারপিট করে এবং বাধ্য করে টাকা দিতে। এ ধরনের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে। অভিভাবকরা পুলিশের কাছে যেতে বা নাম প্রকাশ করতেও ভয় পায়। গোটা শহর বিশেষ করে গোহাটা, বীণাপাণি স্কুল মোড়, চৌরঙ্গী, বটতলা, বড় বাজার, নিচুপাড়া, বেদগ্রাম এবং মিয়াপাড়া এলাকার জামে মসজিদ মোড়, চৌরাস্তা মোড়, খ্রীষ্টান মিশন এলাকা, লায়েকের মোড়, পূর্ব মিয়াপাড়ার সাধারণ মানুষ কার্যত রাসেল ও রনির নিকট জিম্মি হয়ে পড়েছে। ওই গ্যাংটির অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে দুই জনের নাম জানা গেছে। তারা হলো বাবু ও অনীক। অনীকের বাসা মিয়াপাড়া এলাকায় হলেও বাবুরটি জানা যায় নাই।
সন্ত্রাসী রাসেল ও রনি গতকাল শনিবার বেলা সাড়ে এগারোটার দিকে দৈনিক জবাবদিহির গোপালগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি মোহাম্মদ মাহমুদ কবির আলীর বড় ছেলে মোহাম্মদ ইফতেখার ইফতি আলীকে ধরে নিয়ে যায় মাঝিগাতি গ্রামে। সেখানে একটি কক্ষে আটকে রেখে তাকে মারপিট করে এবং পরে জেলা শহরের লায়েকের মোড় এলাকায় ফেলে যায়। এ ব্যাপারে সাংবাদিক মোহাম্মদ মাহমুদ কবির আলীর স্ত্রী কেয়া মাহমুদ জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানার নিকট লিখিত অভিযোগ করেছেন গতকাল রোববার। রাসেল-রনি গ্যাং-এর আইনবিরোধি কর্মকান্ড সম্পর্কে জানতে চাইলে গোপালগঞ্জ পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আতিকুর রহমান পিটু বলেন, ওই গ্যাংটির দাপটে সাধারণ মানুষ অতিষ্ট হয়ে গেছে। তারা কোন প্রকার আইনের তোয়াক্কা করেনা।
গ্যাংটির অপতৎপরতায় সামাজিক অবক্ষয় বাড়ছে। তাদের চাঁদাবাজী, মাদক বিক্রয় এবং সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের দরুন আমরা রীতিমতো অসহায় হয়ে পড়েছি। সন্ত্রাসী রাসেল, রনি সহ অন্যদেরকে পুলিশ গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির ব্যবস্থা না করলে গোপালগঞ্জ শহরের মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাপন করা সম্ভব হবে না বলেও সচেতন মহল মনে করেন।