প্রতিনিধি ২৪ এপ্রিল ২০২৪ , ৩:১০:৫২ প্রিন্ট সংস্করণ
২২ বছর ধরে অফিস সহকারী পদে কর্মরত থাকাবস্থায় মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে অন্য একজনকে ওই পদে নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার কামাত আঙ্গারিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার সাইদুর রহমানের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী অফিস সহকারী সফিয়ার রহমান উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও ইউএনও বরাবর এ সংক্রান্ত একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
জানা গেছে, সর্বশেষ বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগ নীতিমালা অনুযায়ী দাখিল মাদ্রাসার ক্ষেত্রে তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর (এসিও) একটি পদ রয়েছে। ভূরুঙ্গামারী উপজেলার কামাত আঙ্গারিয়া দাখিল মাদ্রাসার অফিস সহকারী পদে ২০০২ সালে (ইনডেক্স ২৬৯২৩৩২) নিয়োগ পান মো. সফিয়ার রহমান এবং ২০১৪ সালের জুলাই মাসে উচ্চতর স্কেল প্রাপ্ত হন।
ওই পদে প্রথম এমপিও কপিতে পদবি ছিল টাইপিস্ট কাম ক্লার্ক (সিটি)। সেই থেকে তিনি ওই পদে কর্মরত আছেন। পরবর্তীতে সিটি পদটি নামকরণ সংশোধন করে এসিও করা হয় এবং প্রতিষ্ঠান প্রধানদের তা সংশোধন করার নির্দেশ দেয়া হয়। কিন্তু প্রতিষ্ঠান প্রধান তা সংশোধন না করে চলতি বছরের গত জানুয়ারি এমপিও শিটে সফিয়ার রহমানকে এবতেদায়ি জুনিয়র শিক্ষক (ইবি-টি) দেখিয়ে গোপনে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ওই পদে (এসিও) মো. খালেদুজ্জামান নামের একজনকে নিয়োগ দেন।
যার ইনডেক্স (গ০০৫৪১৮০), এমপিও ভুক্তির তারিখ মার্চ, ২০২৪ইং। এ ঘটনা প্রকাশ হলে এলাকায় উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয় এবং বিষয়টি তদন্তের দাবি করে সফিয়ার রহমান বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দাখিল করেন।এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাদ্রাসা সুপার সাইদুর রহমান রাগান্বিত হয়ে বলেন, কাজ করতে গেলে ভুল হতেই পারে। এটা নিয়ে এতো খোঁচাখুঁচির কি আছে? সোমবার এটা নিয়ে ইউএনওর সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। আমাকে সংশোধনীর জন্য এক মাস সময় দেওয়া হয়েছে। এক পদে দুইজনের নিয়োগ কীভাবে সম্ভব- এমন প্রশ্নের জবাব দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন তিনি।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুর রহমান জানান, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের নির্দেশ মোতাবেক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তবে বিষয়টি অন্যায় হয়েছে। এ বিষয়ে মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে তদন্ত হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম ফেরদৌস জানান, এ ব্যাপারে সকল পক্ষকে ডেকে বিষয়টি দ্রুত সংশোধন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।