প্রতিনিধি ১৮ মার্চ ২০২৪ , ৬:৫৫:১৪ প্রিন্ট সংস্করণ
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২৪ উদ্যাপন করা হয়েছে। দিনব্যাপী নানা আয়োজনে যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি উদ্যাপন করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।
রবিবার (১৭ মার্চ) সকাল ১১ চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল এবং চবক এর সদস্যবৃন্দ বন্দর ভবন প্রাঙ্গণে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এতে চট্টগ্রাম বন্দর অফিসার্স এসোসিয়েশন, চবক এর সকল বিভাগীয় প্রধানসহ সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং চট্টগ্রাম বন্দর কর্মচারী পরিষদ সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, অবসরপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা কর্মকর্তা কর্মচারী ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন ।
সকাল সাড়ে ১১টায় শহীদ ফজলুর রহমান মুন্সি অডিটোরিয়ামে বঙ্গবন্ধুর বর্ণাঢ্য জীবন ও কর্মের ওপর অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি চবক চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল বক্তব্যের শুরুতে গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ আগস্টে নিহত সকল শহীদদের স্মরণ করে বলেন, “জাতির পিতা শিশুদের ভালোবাসতেন এবং তাদের অধিকারের জন্য কাজ করে গেছেন।
তিনি সবসময় সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের পাশে থাকতেন। তাই আজকের এই শিশু দিবসের মূল উদ্দেশ্য হওয়া উচিত সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের কল্যাণে কাজ করা। তিনি সকলকে জাতির পিতার আদর্শ অনুসরণ করে জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের কল্যাণে কাজ করার মাধ্যমে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে ভূমিকা রাখার জন্য আহ্বান জানান।
এসময় চট্টগ্রাম বন্দরের সদস্য (প্রশাসন ও পরিকল্পনা) হাবিবুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা হাদী হোসেন বাবুল এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বক্তৃতা করেন।এরপর চেয়ারম্যান, চবক চেয়ারম্যান ‘‘১৭ই মার্চের পূর্বে বাংলাদেশ” থিমের ওপর রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।
পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধুর বর্ণাঢ্য জীবনী ও মহান মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক ডকুমেন্টারি প্রদর্শন এবং বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ প্রচার করা হয়।দিবসটি উপলক্ষ্যে চবক এর আওতাধীন সকল মসজিদ, এবাদতখানা, মন্দির ও বৌদ্ধ বিহারে বিশেষ দোয়া ও প্রার্থনার আয়োজন করা হয় এবং বন্দর হাসপাতালে অভ্যন্তরীণ রোগীদের উন্নতমানের খাদ্য পরিবেশন করা হয়।