চন্দ্রিমা উদ্যানে পুলিশের সঙ্গে নেতা কর্মীদের সংঘর্ষ ও গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে বিএনপি। দলটির অভিযোগ পুলিশের হামলায় অসংখ্য নেতা কর্মী আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের ১২ নেতা কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর প্রতিবাদে বুধবার ঢাকার প্রতিটি থানায় বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে দলটি।
মঙ্গলবার বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম।
এর আগে সকালে চন্দ্রিমা উদ্যানে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের কর্মসূচিতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধে বিএনপির নেতা কর্মীদের।
সংবাদ সম্মেলনে সালাম অভিযোগ করেন, বিনা উসকানিতে পুলিশ নেতা কর্মীদের ওপর হামলা করেছে। অনুষ্ঠানের এক ঘণ্টা আগে থেকেই কর্মসূচির স্থানে ব্যারিকেড দিয়ে রাখে। নেতা–কর্মীদের লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ এবং টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এ ছাড়া নেতা–কর্মীদের বেধড়ক লাঠি চার্জে গুরুতর আহত করে। ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি’র আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, সদস্যসচিব আমিনুল হকসহ অসংখ্য নেতা কর্মী গুরুতর আহত হন। কয়েকজন সাংবাদিকও আহত হয়েছেন।
সালাম বলেন, ‘সরকার বিএনপিকে দমন করতে অতিমাত্রায় ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছে। শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশের নির্দয় হামলা তারই বহিঃপ্রকাশ।’
সংবাদ সম্মেলনে চন্দ্রিমা উদ্যানের ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া নেতা কর্মীদের নাম জানান সালাম। তারা হলেন, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এ জে এম শামসুল হক, কৃষক দলের শাহজাহান সম্রাট, যুবদলের মো. রুবেল, ছাত্রদলের হাফিজ আহমেদ রাতুল, ইব্রাহিম, সোহাগ, রবিউল, জুম্মন, সোলেমান, মুক্তার, পল্টন থানা বিএনপির নেতা মুনির হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মতিউর রহমান।