দেশজুড়ে

চাকরির প্রলোভনে দিনের পর দিন গৃহবধূকে ‘ধর্ষণ’ প্রবাসীর 

  প্রতিনিধি ৫ অক্টোবর ২০২০ , ১২:১১:৫১ প্রিন্ট সংস্করণ

প্রতীকী ছবি

ভোরের দর্পণ অনলাইন:

সাভারে চাকরি দেওয়ার নাম করে দিনের পর দিন এক গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ইতালি ফেরত এক প্রবাসীর বিরুদ্ধে। এরপর থেকেই হুমকি আর ভয়-ভীতির মধ্যে রয়েছেন ওই নারী। অর্থ ও প্রভাবশালীদের দাপটে নাজেহাল হয়ে প্রাণ ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন তিনি।

শেষ পর্যন্ত ভুক্তভোগী ওই নারী ফোন করেন জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ। তাকে সাভার মডেল থানার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করিয়ে দেওয়ার পর থানায় গিয়েও আশানুরূপ সাড়া না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন তিনি।

ভুক্তভোগী ওই নারী জানান, তার স্বামী পেশায় একজন কাঠমিস্ত্রি। ফরিদপুরের মধুখালী থানায় একটি গ্রাম থেকে সাভারে আসার পরই মহামারি করোনাভইরাসের প্রাদুর্ভাবে থমকে যায় তাদের জীবন।

স্বামীর আয় না থাকায় নিজেই কাজের সন্ধানে বের হলে এক ব্যক্তির মাধ্যমে পরিচয় হয় সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ডের ইতালি ফেরত প্রবাসী সাদিকুর রহমান সেলিমের সঙ্গে। চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে তিনি ওই নারীকে দিনের পর দিন তার বহুতল ভবনের সাত তলায় নিয়ে পাশবিক নির্যাতন চালান বলেও অভিযোগ এই নারীর।

ভুক্তভোগী ওই নারী জানান,প্রতিবাদ করার পর থেকে তিনি প্রভাবশালীদের ভয়-ভীতি ও হুমকির মুখে এলাকা ছেড়ে চলে যান আশুলিয়ায়। এরমধ্যে নানাভাবে ওই নারীকে উত্ত্যক্ত এবং নাজেহাল করায় শেষ পর্যন্ত তিনি জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এর শরণাপন্ন হন।

সেখান থেকে তাকে সাভার মডেল থানায় যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হলে সেখানে তিনি অভিযোগ দায়ের করেন। তবে সেই অভিযোগ পুলিশ এখনো মামলা হিসেবে রেকর্ড করেনি বলে অভিযোগ করেন ওই নারী।

তিনি বলেন, ‘চাকরি দেওয়ার কথা বলে আমাকে সাভারে ডিবি অফিসের সামনে সাদিকুর রহমান সেলিম তার মালিকানাধীন বহুতল ভবনের সাত তলায় নিয়ে যান। ওখানেই চাকরির বিষয়ে আলাপ আলোচনা হবে জানিয়ে আমাকে ধর্ষণ করেন।’ এ বিষয়ে প্রতিবাদ করার পর থেকেই আমাকে নানাভাবে নাজেহাল করতে থাকেন তিনি।

আজ সোমবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ। তবে পুলিশের উপস্থিতির টের পেয়ে আগেই পালিয়ে যান ওই প্রবাসী। পুলিশ জানায়, প্রাথমিক তদন্তে ওই নারীর সঙ্গে প্রবাসীর যোগাযোগ ও সম্পর্ক স্থাপনের নানা আলামত পাওয়া গেছে। এমনকি তিনি ওই নারীকে সঙ্গে করে ইসলামী ব্যাংক সাভার শাখায় গেছেন। সেখানে তার নামে একটি হিসাব খুলে সেই নারীর হিসাবে নগদ সাড়ে চার লাখ টাকা জমা করে আবার উত্তোলন করেও নিয়ে গেছেন। এর মাধ্যমে ওই নারীর সাথে অভিযুক্তের যোগাযোগের আলামত নিশ্চিত হওয়া গেছে।

যোগাযোগ করা হলে প্রবাসী সাদিকুর রহমান সেলিম এ বিষয়ে কোনো সংবাদ পরিবেশন না করার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘আমরা বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করছি।’

সাভার মডেল থানার পরিদর্শক তদন্ত সাইফুল ইসলাম জানান, ওই নারীর লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

আরও খবর

Sponsered content