প্রতিনিধি ৯ মে ২০২০ , ৪:০৯:১৩ প্রিন্ট সংস্করণ
মাদারীপুর প্রতিনিধিঃ চাকরি হারানোর ভয়ে নিম্ন আয়ের মানুষরা করোনা ঝুঁকির মধ্যেই কাঁঠালবাড়ি–শিমুলিয়া নৌরুটে ঢাকামুখী যাত্রীদের চাপ দিন দিন বেড়েই চলছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষ যেমনি যাচ্ছে ঢাকায়। তেমনি ঢাকা থেকে ঈদুকে সামনে রেখে ফিরতে শুরু করেছে শ্রমজীবি পরিবারের অপর সদস্যরা। লঞ্চ স্পিডবোট বন্ধ থাকায় বাড়তি চাপ বেড়েছে ফেরিতে। ফেরিগুলো যানবাহন পারাপারের পাশাপাশি যাত্রী পারাপারে হিমশিম খাচ্ছে।
এদিকে ঘাটের মানুষের যাতায়াত দেখলে মনে হয় না যে, করোনা ভাইরাসের কারণে মানুষের চলাচলে আছে কোন বাধা নিষেধ। ঘাট এলাকার যাত্রীরা জানান, চাকরি বাচাতেই জীবনের ঝুঁকি নিয়েই ঢাকার উদ্দেশ্যে যেতে হচ্ছে।
ঘাট কর্তৃপক্ষ স‚ত্রে জানা যায়, করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া বন্ধে সারাদেশে গনপরিবহন বন্ধ থাকায় এপ্রিলের শেষ সপ্তাহ থেকেই ঘাট দিয়ে মানুষ যেমনি যাচ্ছে তেমনি বাড়ির উদ্দেশ্যে যাচ্ছে। সাধারন ছুটি ঘোষণা করা হলেও গত ২৬ এপ্রিল থেকে আজও ঢাকামুখো যাত্রীদের চাপ বেড়েছে দক্ষিণবঙ্গের ২১টি জেলার প্রবেশদ্বার খ্যাত কাঠালবাড়ি –শিমুলিয়া ঘাটে। ভোরের আলো ফোটার সাথে সাথে শুরু হয়েছে পারাপারের প্রতিযোগিতা। সকাল থেকে রাজধানী মুখী যাত্রীদের ভীড়ে যেন করোনা উৎসবে পরিণত হয় কাঠালবাড়ি ঘাটে। দেশব্যাপী করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার সতর্ক থাকলেও পদ্মা নদীর কাঠালবাড়ি –শিমুলিয়া নৌরুটে যেন পারপারে প্রতিযোগিতায় লেগেছে হাজার হাজার মানুষ।
শনিবার (০৯ মে) সকাল থেকে সরেজমিনে কাঠালবাড়ি ঘাটে দেখা যায়, সরকারের ঘোষনা অনুযায়ী লঞ্চ ও স্পিডবোট বন্ধ থাকলেও ফেরীযোগে পাড়ি দিচ্ছে হাজার হাজার মানুষ। বিআইডব্লিউটিসির কাঠালবাড়ি ঘাট সুত্রে জানা যায়, গত কয়েকদিন ধরেই ৯/১০ টি ফেরীতে যানবাহন পার করা হচ্ছে। বিভিন্ন জেলা থেকে বিকল্প ভাবে ভেঙে ভেঙে ঘাটে এসে ফেরীতে করে ঢাকামুখী যাত্রীরা ফেরী পার হচ্ছে। তবে যাত্রীদের সাথে প্রাইভেটকার, অ্যাম্বুলেন্সসহ জরুরী সেবাদানকারী যানবাহন ও পার করা হচ্ছে।
বরিশাল থেকে আসা যাত্রী সোহেল আহমেদ জানান, করোনার মধ্যেই জীবনের ঝুঁকি নিয়েই বরিশাল থেকে ভেঙ্গে ভেঙ্গে ঘাট পর্যন্ত এসেছি। এখানে আসতে মোটরসাইকেল, ভ্যানসহ বিভিন্ন যানবাহনে ১৩শত টাকা খরচ হয়েছে। তবু ঢাকা যেতে হবে চাকরি বাচাতে।
বিআইডব্লিউটিসি কাঠালবাড়ি ঘাটের সহকারি ব্যবস্থাপক সামসুল আরেফিন বলেন, সকাল থেকেই রাজধানীম‚খী যাত্রীর অতিরিক্ত চাপ রয়েছে। আজ ৭ টি ফেরী দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পার করানো হচ্ছে। ১৭ টি ফেরীর মধ্য ৩ টি রোরো,৩ টি ডাম্ব,৩ টি কে ধরন ও ১ টি মধ্যম ফেরীর মাধ্যমে যাত্রী ও যানবাহন পার করানো হচ্ছে।