প্রতিনিধি ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ , ৯:৫৯:২০ প্রিন্ট সংস্করণ
আসন্ন ৭৬তম জাতিসংঘ অধিবেশনে বাংলাদেশ রোহিঙ্গা ইস্যু তুলে ধরবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। এছাড়া জলবায়ু ও টিকা ইস্যুকে প্রাধান্য দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
আজ বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন ড. মোমেন।
রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে সাংবাদিকের করা এক প্রশ্নের জবাবে ড. মোমেন বলেন, ‘আমরা এই মুহূর্তে নতুন কোনো প্রস্তাব দেব না। আমরা জাতিসংঘে রোহিঙ্গা ইস্যু তুলে ধরব। তবে ওখানে রোহিঙ্গার ওপর যে ইভেন্ট হবে সেখানে মোটামুটিভাবে অনেকগুলো দেশ স্বেচ্ছায় আমাদের সঙ্গে বসতে চায়। তবে এবারের অধিবেশনে জলবায়ু ও টিকা ইস্যুকে প্রাধান্য দেওয়া হবে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আগামীকাল শুক্রবার সকালে প্রায় ৮০ সদস্যবিশিষ্ট প্রতিনিধিদলের সঙ্গে ফিনল্যান্ড হয়ে নিউ ইয়র্ক যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সশরীরে উপস্থিত থাকার পাশাপাশি ২৪ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘে তিনি বাংলায় ভাষণ দেবেন। সাধারণ পরিষদে এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে “আশা”।’
তিনি বলেন, ‘কোভিড মহামারির কারণে অর্থনীতি যে আঘাত পেয়েছে সেটি দূর করে আশার জাগানোর জন্যই এ সম্মেলনের প্রতিপাদ্য হচ্ছে “আশা”।’
জাতিসংঘের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করার পাশাপাশি দ্বিপক্ষীয় বেশ কয়েকটি বৈঠক হবে বলেও জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘মালদ্বীপ, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও ভিয়েতনামের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের কথা আছে। এ ছাড়া বারবাদোজের প্রধানমন্ত্রী ও জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গেও বৈঠক হবে।
জাতিসংঘে মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনার প্রসঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘জাতিসংঘের কমিটি এখনও বলে নাই, সেখানে মিয়ানমারের ন্যাশনাল গভমেন্ট রিপ্রেজেন্ট করতে দেবে নাকি মিয়ানমার মিলিটারি গভমেন্ট থাকবে।’
চায়নার ত্রিপক্ষীয় বৈঠক প্রসঙ্গে ড. মোমেন বলেন, ‘চায়নার সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। এখন মিয়ানমারে সামরিক শাসন। নতুন সামরিক সরকারের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্ক হয়নি। চায়না দেখছে, চায়না আমাদের বলেছে; তারা সেখানকার পরিস্থিতি স্ট্যাবল হওয়ার অপেক্ষা করছে। যখন সরকার স্ট্যাবিলাইজ হবে তখন তারা আবার শুরু করবে। এখানে বলে রাখা ভালো নতুন মিয়ানমার সরকার বলেছে, তারা আগের সরকারের সঙ্গে যে চুক্তি হয়েছিল, সেগুলোকে সম্মান দেখাবে। তারা বলেছে, বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিকভাবে আলাপ করে সমাধান করবে। সুতরাং আমরা এখনও আশাবাদী।’
এ সময় মোমেন জানান, আসিয়ানের যে নতুন বিশেষ দূত নিয়োগ দেওয়া হয়েছে তাদের সঙ্গে আমাদের সরাসরি যোগাযোগ হচ্ছে।