প্রতিনিধি ২ জুলাই ২০২৫ , ৮:২৬:১৫ প্রিন্ট সংস্করণ
জাপানের দক্ষিণাঞ্চলে প্রত্যন্ত দ্বীপমালা গত দুই সপ্তাহে প্রায় ৯০০টি ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে বলে বুধবার জানিয়েছে আবহাওয়া সংস্থা। বাসিন্দারা জানিয়েছে, তারা ভূমিকম্পের কারণে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে। তবে এখনো বড় কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
কিউশু অঞ্চলের দক্ষিণে অবস্থিত টোকারা দ্বীপমালায় স্থানীয় সময় বিকেল সাড়ে ৩টায় ৫.৫ মাত্রার একটি ভূমিকম্পের পর জাপান মেটিওরোলজিক্যাল এজেন্সি (জেএমএ) জরুরি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
২১ জুন থেকে টোকারা দ্বীপমালার আশপাশে সমুদ্রে ভূগর্ভের অভ্যন্তরীণ কার্যক্রমের তীব্রতা বেড়েছে বলে সাংবাদিকদের জানান ভূমিকম্প ও সুনামি পর্যবেক্ষণ বিভাগের পরিচালক আয়াতাকা এবিতা। বুধবার বিকেল ৪টা পর্যন্ত এর সংখ্যা বেড়ে ৯০০-তে দাঁড়িয়েছে। তবে কবে নাগাদ এটি শেষ হবে তা জানাতে পারেনি সংস্থাটি।
এদিকে টোকারা গ্রাম তাদের ওয়েবসাইটে জানিয়েছে, গ্রামটির বাসিন্দারা নির্ঘুম রাত কাটিয়ে ক্লান্ত।
গ্রামের এক বাসিন্দা স্থানীয় সংবাদমাধ্যম এমবিসিকে বলেন, ‘মনে হচ্ছিল সব কিছু বারবার কেঁপে উঠছে। ঘুমিয়ে পড়াটাও আতঙ্কের।’ অন্য আরেক বাসিন্দা বলেন, ‘এটি কবে শেষ হবে, তা স্পষ্ট নয়। আমার বাচ্চাদের অন্যত্র সরিয়ে নেব কি না, তা নিয়ে ভাবছি।
জেএমএর তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে টোকারা অঞ্চলে একই ধরনের তীব্র ভূমিকম্পের ঘটনা দেখা গিয়েছিল। সে সময় দ্বীপমালাটিতে ৩৪৬টি ভূমিকম্প রেকর্ড করা হয়েছিল। টোকারার ১২টি প্রত্যন্ত দ্বীপমালার মধ্যে সাতটিতেই জনবসতি রয়েছে। দ্বীপমালাটিতে মোট ৭০০ জন বাসিন্দা রয়েছে।
প্রশান্ত মহাসাগরের পশ্চিম প্রান্তে ‘রিং অব ফায়ার’ বরাবর চারটি প্রধান টেকটোনিক প্লেটের ওপর অবস্থিত হওয়ায় জাপান বিশ্বের সবচেয়ে ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চলগুলোর মধ্যে একটি।
দ্বীপরাষ্ট্রটির প্রায় সাড়ে ১২ কোটি মানুষ প্রতিবছর প্রায় দেড় হাজার ভূমিকম্পের শিকার হয়, যা বিশ্বের মোট ভূমিকম্পের ১৮ শতাংশ। তবে বেশির ভাগ ভূমিকম্পের মাত্রাই মৃদু। যদিও অবস্থান ও আঘাতের গভীরতার ওপর ক্ষতির ধরণ নির্ভর করে। ২০২৪ সালের প্রথম দিনেই জাপানের মধ্যাঞ্চলে নোটো পেনিসুলাতে হওয়া ভূমিকম্পে প্রায় ৬০০ মানুষ নিহত হয়েছিল।
সূত্র : এএফপি