প্রতিনিধি ১২ সেপ্টেম্বর ২০২১ , ৬:১৩:৩৭ প্রিন্ট সংস্করণ
জামালপুর প্রতিনিধি:
জামালপুর সদর উপজেলা শরিফপুর ইউনিয়নের ডেংগারঘর উত্তরপাড়ায় অন্তর ডেইরি ফার্মের ২০টি গাভীকে ভুল চিকিৎসা করার অভিযোগ উঠেছে এআই কর্মী আব্দুল কাদেরের বিরুদ্ধে।
অন্তর ডেইরি ফার্মের সত্ত্বাধারীকারী আকরাম হোসেন অভিযোগ করে বলেন বিগত ১৫ মার্চ ২০২১ইং তারিখে এআই কর্মী আব্দুল কাদেরকে আমার খামারে নিয়োগ দেয়া হয় । প্রতিমাসে তাকে ১০হাজার টাকা করে বেতন দেওয়া।
এছাড়াও ২লক্ষ ৫০হাজার টাকা অগ্রিম দেওয়া হয় কাদের । তিনি আরো বলেন ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২১ইং তারিখে আমার খামারে এআই কর্মী আব্দুল কাদের ২০টি গাভীকে বীজ দেয় । ৩থেকে ৮মাস পরে সে চেকাপ করে বলে প্রতিটি গাভীর পেটে বাচ্চা আছে। গাভীর পেটে বাচ্চা আছে খবর শুনে আমি চট্টগ্রাম থেকে তারাতাড়ি চলে আসি। এসে দেখি গাভীর পেটে যে বাচ্চা আছে তার কোন লক্ষন দেখা যায় না। এমতো অবস্থায় আমি অন্য আরেক জন এআই কর্মী সেলিম রেজাকে এনে আমার খামারের ২০টি গাভীকে পরীক্ষা করায়। পরীক্ষা করে সে বলে আপনার খামারের ২০টি গাভীর পেটে বাচ্চা নেই। আপনাকে সে মিথ্যা কথা বলেছে। এই বিষয়ে এআই কর্মী সেলিম বলেন
শনিবার দুপুরে আমি অন্তর ডেইরি ফার্মের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় অন্তর ডেইরি ফার্মের মালিক আকরাম হোসেন আমাকে ডাক দেয়। পরে আমি তাহার গরুর ফার্মে যাই।যাওয়ার পরে সে আমাকে বলে আমার এই ২০টি গাভী একটু পরীক্ষা করে দেখেন তো গাভীর পেটে যে বাচ্চা আছে তা কত মাস হলো। তার কথা মতো আমি অন্তর ডেইরি ফার্মের ২০টি গাভীকে পরীক্ষা করি। পরীক্ষা করে গাভীর পেটে কোন বাচ্চা পায়নি।
এই বিষয়ে এআই কর্মী আব্দুল কাদের বলেন গাভীগুলো আমি নিজে এবং পরে একজন দক্ষ সরকারি পশু চিকিৎসক দিয়ে পরীক্ষা করা হয়েছে । গাভী গুলোর পেটে কোন বাচ্চা নেই। এ ব্যাপারে এএই কর্মী আব্দুল কাদের জানান, আমি অন্তর ডেইরি ফার্মে ৬মাসের মত চাকুরী করেছি। চাকুরি ছেড়ে দিয়েছি তাই আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপ্রচার করছে।
তার খামাবের কোন গাভীকে বীজ দেইনি আমি। আর কোন অগ্রিম টাকা আমাকে দেয়নি তারা বরং তাদের কাছে আমি উল্টো আরোও টাকা পাবো।