প্রতিনিধি ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ১:৫৬:১০ প্রিন্ট সংস্করণ
মোহামেডান স্পোটিং ক্লাবের ডিরেক্টর ইনচার্জ লোকমান হোসেনের বিরুদ্ধে করা মানি লন্ডারিং মামলার অন্যতম সাক্ষী মোহামেডান স্পোটিং ক্লাব মসজিদের ইমাম আওলাদের ১৬৪ ধারার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির ভিত্তিতে গত ২৩ফেব্রুয়ারী ২০২০ সিআইডি’র অভিযানে আটক হয় এই জামাল। জামিনে বেরিয়ে এলাকায় ফিরে আবারো নিজস্ব ক্যাডার বাহিনী দিয়ে অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়ার খবর ক্লাব পাড়াসহ মতিঝিল, ফকিরাপুল ও আরামবাগের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ছে।
ক্লাব পাড়া ঘুরে জানা যায়, পুরো ক্লাব পাড়ায় জুয়া বন্ধ থাকায় জামালের সহযোগিরা এখন ছিনতাইয়ের মতো কুকর্মে সাথে নিয়মিত জড়িয়ে পড়েছে, আর এ অপরাধের নেতৃত্ব দিচ্ছেন জামালের অন্যতম ক্যাডার শফিকুল ইসলাম ইকবাল ওরফে নাইন ইকবাল। গেল ২৭ আগস্ট ওয়ারীর বলধা গার্ডেন এর গলিতে দিনে দুপুরে এক বিকাশ ব্যবসায়ীর মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে সাড়ে তিন লাখ টাকা ছিনতাই করে নাইন ইকবাল ও তার সহযোগী। যার সিসিটিভি ফুটেজ হাতে পাওয়ার আগেই ওই বিকাশ ব্যবসায়ী অজ্ঞাত আসামী করে ওয়ারী থানায় একটি ছিনতাই মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর ইতিমধ্যে ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত থাকা নাইন ইকবালের সহযোগী রাহাতকে গ্রেফতার ও রিমান্ড শেষে জেল-হাজতে পাঠিয়েছে ওয়ারী থানা পুলিশ।
এ বিষয়ে ওয়ারী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আজিজুর রহমানের কাছে জানতে চাওয়া হলে রাহাতের রিমান্ডের কথা শিকার করলেও বিকাশ ব্যবসায়ীর দায়ের করা মামলায় তাকে আসামী দেখানো হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নে কথা বলতে রাজি হননি এ কর্মকর্তা। তবে এ ঘটনায় জড়িত শফিকুল ইসলাম ওরফে নাইন ইকবাল পলাতক রয়েছে বলে জানা গেছে। যুবদলের ক্যাডার খ্যাত নাইন ইকবাল যুবলীগ নেতা হাসান উদ্দিন জামালের প্রধান সহযোগী হওয়ায়, তার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে কেউ সাহস পায়না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বাসিন্দা জানান, নাইন ইকবালের নামে মতিঝিল থানাসহ রাজধানীর বিভিন্ন থানায় হত্যা মামলাসহ একাধিক ছিনতাইয়ের মামলা রয়েছে।
এই নাইন ইকবালের নেতৃত্বে যুবদলের কিছু সন্ত্রাসী ৯ নং ওয়ার্ড ও তার আশেপাশের এলাকায় বেশ কিছুদিন যাবৎ নিয়মিতভাবে ছিনতাই সহ নানা অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন। এ বিষয় এলাকার ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, চাঁদাবাজি ও জুয়া বন্ধ থাকায় ক্যাসিনো জামালের সহযোগিরা টাকার জন্য মরিয়া হয়ে চুরি ছিনতাইসহ নানা কুকর্মে জড়িয়ে পড়ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে এদের ব্যপারে জরুরী ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করেছেন এ ওয়ার্ডের বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীরা।